আজাদুল হক, বাগেরহাট: জেলার মোল্লাহাট উপজেলা পল্লীতে কোচিং ক্লাস করে বাড়ী ফেরার পথে ৬ষ্ঠ শ্রেণির একজন ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
স্থানীয় চাউলটুরী গ্রামের নাঈম শেখ (১৯) গত সোমবার সকালে ফাঁকা রাস্তায় পেয়ে মেয়েটিকে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। মেয়েটি হিন্দু পরিবারের হয়ায় বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে ম্যানেজ করে সালিশ বৈঠকের মাধ্যামে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
এক পর্যায়ে এ ঘটনায় সোমবার রাতেই মোল্লাহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করে মেয়েটির পরিবার।
ঈদে বেশি ভাড়া নিলে সেই বাস বন্ধ করে দেয়া হবে
তবে নাইমকে তার পরিবার অন্যত্র সরিয়ে দেয়। বিলম্বে প্রাপ্ত তথ্যমতে ভিকটিম পরিবার বুধবার সকালে জানায়, গত সোমবার সকাল ৮টার দিকে মেয়েটি কোচিং ক্লাশ করে বাড়ী ফেরার পথে স্থানীয় ব্রাম্মনডাঙ্গা এলাকায় রাস্তায় ফাঁকা পেয়ে ওৎপেতে থাকা নাইম শেখ তাকে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ এলাকার কতিপয় লোভি ব্যক্তি ওইদিনই রাত ৮টার দিকে একটি সালিশ বৈঠকের আয়োজন করে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলে। এ খবর পেয়ে স্থানীয় সংবাদ কর্মীরা সালিশে হাজির হলে সালিশদাররা কৌশলে নাইম ও তার পিতা রসুলকে সরিয়ে দিয়ে সালিশ কার্যক্রম স্থগিত করে দেয়।
বাগেরহাটে স্বামীর সাথে ঝগড়া করে স্ত্রীর আত্মহত্যা
বিষয়টি সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে জানতে পেরে মোল্লাহাট থানা পুলিশ ওই এলাকায় যায় এবং ভিকটিম পরিবারের লোকজনকে সহযোগিতা করায় এ ঘটনায় থানায় মামলা রেকর্ড হয়। সালিশ বৈঠকে সকলের উপস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য তরুণ কান্তি বিশ্বাস বলেন, অপর ইউপি সদস্য আকাশের পরামর্শে এ সালিশ বৈঠক আয়োজন করা হয়। তবে সংবাদ কর্মীরা ঘটনা জেনে যাওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে সালিশ সাময়িক বন্ধ রাখা হয়।
এ বিষয়ে মোল্লাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম আশরাফুল আলম জানান, স্কুলে পড়া শিশু মেয়েকে রাস্তায় ধর্ষণ চেষ্টা ও পরে এ ঘটনা ধামা চাপা দিতে সালিশ বৈঠকের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠানো হয়। এছাড়া ভিকটিম পরিবারের সাথে কথা বলার পর তারা থানায় এসে এজাহার দাখিল করেন। মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে ভিকটিমের জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়েছে। আসামিকে আটকের চেষ্টা চলছে।
এছাড়া স্পর্শকাতর ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে যারা চেষ্টা করেছে তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্বাআলো/এসআর