বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন এবং জনগণের পক্ষ থেকে স্বৈরশাসন ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার যে দাবি উঠেছে, তা অন্তর্বর্তী সরকার গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে। এ ব্যাপারে সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করেছে এবং তাদের সাথে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
শুক্রবার (৯ মে) দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের নেতা ও সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন সরকারের বিবেচনায় রয়েছে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত সকলকে ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ইতোমধ্যে সরকার জনগণের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রচলিত আইনের অধীনে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের দায়ে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে।
আ.লীগ নিষিদ্ধে মঞ্চের সামনে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা
এছাড়াও, মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে জড়িত সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।
সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং হত্যা মামলার আসামি আবদুল হামিদের বিদেশ গমন নিয়ে জনমনে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, সে বিষয়েও সরকার অবগত রয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ঘটনার সাথে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা নিতে সরকার বদ্ধপরিকর বলেও আশ্বস্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনকারী আবদুল হামিদ বুধবার দিবাগত রাতে দেশ ত্যাগ করেন। এরপর বৃহস্পতিবার রাত থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা। শুক্রবার জুমার নামাজের পর সেখানে সমাবেশ শুরু হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটেই প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে উক্ত বিবৃতিটি এলো, যা চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
স্বাআলো/এস