জানা গেছে, এবার দলীয় মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র ৩০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দেয়া যাবে। অনলাইনেও সেই সুযোগ থাকছে। জানা গেছে, ইতোমধ্যে ৩০০ আসনের দলীয় প্রার্থিতা বাছাইয়ের কাজ প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে দলটি। দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য দলীয় প্রার্থিতা ইতিমধ্যে সংক্ষিপ্ত তালিকায় নামিয়ে এনেছেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, ২০১৮ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন হারান আওয়ামী লীগের ৫৬ জন সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী। তার আগে ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনেও বাদ পড়েন ছয় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ৪৯ জন সংসদ সদস্য। বর্তমান পরিস্থিতিতে টানা চতুর্থবারের মতো আওয়ামী লীগের বিজয় আনতে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ঝুঁকি নিতে চায় না আওয়ামী লীগ। দফায় দফায় জরিপে যেসব প্রার্থীদের জনভিত্তি রয়েছে এবং নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাদেরই এবার মনোনয়ন দেবে দলটি। ফলে বিগত দুই নির্বাচনের চেয়েও এবার বেশি সংখ্যক বর্তমান সংসদ সদস্যের এবার কপাল পুড়তে পারে, হারাতে পারেন দলীয় মনোনয়ন। আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে ১৪ উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। গতবারও ১৪টি ছিলো।
স্বাআলো/এসএ