২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শেষ হয়েছে। আসনগুলোতে কারা নৌকা প্রতীক পাচ্ছেন, তা ধাপে ধাপে চূড়ান্ত করছে ক্ষমতাসীনরা। আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে শনিবার (২৫ নভেম্বর)।
যে ৮টি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী একজন করে
দেশের মোট সংসদীয় আসন সংখ্যা ৩০০টি। এরমধ্যে ৮টি আসনে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। বাকী ২৯২টি আসনের প্রতিটিতে নৌকার মাঝি হতে চান গড়ে ১১ জন। তবে শেষমেশ কার ভাগ্যে জুটবে মনোনয়ন তা নিয়ে এখনো ধোয়াশা। দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মনোনয়নপ্রত্যাশীরা।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, যে আটটি আসনে এক মনোনয়নপ্রত্যাশী সেখানে পরিবর্তনের কোনো আভাস নেই। কারণ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ বাকিরা সবাই হেভিওয়েট প্রার্থী।
বাকি ২৯২টি আসনের মধ্যে সবগুলোতেও আবার নৌকা পাওয়ার সুযোগ নেই। কারণ সেখানে মহাজোটের প্রার্থীরাও রয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলে ক্ষমতাসীনরা ছাড়াও ১৩টি দল আছে। এসব জোটে অন্তত ৩৫টি আসন ছাড়া হবে।
আলোচনা আছে, জোটের শরীকদের মধ্যে এবার অনেকেই আগের চাইতে বেশি আসন পেতে পারেন। আবার এই জোটে জাতীয় পার্টির অবস্থান কী হবে তা নিয়ে এখনো আছে ধোয়াশা।
বর্তমান সংসদে জাতীয় পার্টির আসন রয়েছে ২৩টি। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), ওয়াকার্স পার্টিসহ জোটের শরিকদের একাধিক করে আসন রয়েছে। এসব আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সংখ্যাও অনেক।
এরমধ্যে কুষ্টিয়া-২ আসনে মহাজোট থেকে টানা তিনবারের সংসদ সদস্য হাসানুল হক ইনু। আসনটিতে জাসদ ও আওয়ামী লীগের মধ্যে দূরত্বও রয়েছে। এবার কুষ্টিয়া-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী চারজন। এর মধ্যে মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামারুল আরেফিন, মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাহার আলী, ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শরীফুজ্জামান, আওয়ামী পরিবারের সন্তান কামরুল আরিফিন ও চিকিৎসক ইফতেখার মাহমুদ নৌকার কাণ্ডারি হতে চান।
একইচিত্র ঢাকা-৮ আসনে। সংসদীয় আসনটির টানা তিনবারের সংসদ সদস্য বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। এবার আসনটিতে নৌকা চান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন। একই আসনে নৌকার কাণ্ডারি হতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ফজলে উদ্দিন মিয়া ও আবদুল মতিন।
২০১৪ সাল থেকে ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। তিনি জাতীয় পার্টির নেতা। এবারো মনোনয়ন দৌড়ে আছেন তিনি। তার জায়গায় এবার নৌকা চেয়ে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন কয়েকজন।
তাদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিক ও ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী হাবিবুর রহমানও নৌকা প্রতীক প্রত্যাশী।
ধারণা করা হচ্ছে, যদি পারিবারিক দ্বন্দ্ব স্থায়ী হয় এবং জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ নির্বাচনে না যায়, তাহলে এসব আসনে দেখা যেতে পারে আওয়ামী লীগের প্রার্থী।
জোট সংক্রান্ত বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, জোট হবে বিভিন্নভাবে, কার সঙ্গে কার জোট হবে, কোথায় গিয়ে ঠেকবে বলা মুশকিল। জোট হতেও পারে নির্বাচনের আগে, সময় আছে। কাজেই তালিকাও আসতে পারে। এমনও হতে পারে আপনিও ভাবছেন না, আমিও ভাবছি না। কিন্তু কার সঙ্গে কার জোট হয়, কেউ ভাবতে পারে না।
স্বাআলো/এসএ