দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বাৎসরিক ছুটি কমানোর কথা ভাবছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
ছুটি কমানোর কারণ:
ছুটি কমানোর পেছনে কারণ ব্যাখ্যা করে উপদেষ্টা বলেন, বছরে ৩৬৫ দিনের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাত্র ১৮০ দিন ক্লাস হয়। শিক্ষা বহির্ভূত অনেক কাজে শিক্ষকদের ব্যস্ত রাখা হয়, যার ফলে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন, সাপ্তাহিক ছুটি কমিয়ে নয়, বরং শিক্ষা ক্যালেন্ডারে থাকা বিদ্যমান ছুটির মধ্য থেকেই প্রাথমিকের ছুটি কমানো হবে।
শিক্ষকদের পদোন্নতি ও নতুন পদ সৃষ্টি:
শিক্ষকদের পদোন্নতির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার জানান, মামলার কারণে অনেক শিক্ষকের পদোন্নতি দেওয়া যাচ্ছে না। বর্তমানে ৩২ হাজার শিক্ষক প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার জন্য অপেক্ষমাণ আছেন। এই পদোন্নতি কার্যকর হলে একই পরিমাণ নতুন পদও সৃষ্টি হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মিড ডে মিল সম্প্রসারণ:
উপদেষ্টা আরো জানান, ১৫০টি উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল চালুর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চলতি সেপ্টেম্বরের শেষদিকে অথবা অক্টোবরে এসব প্রতিষ্ঠানে মিড ডে মিল চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি শিক্ষার্থীদের পুষ্টি ও বিদ্যালয়ে উপস্থিতি বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
দেশের স্বাক্ষরতার হার:
আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবসের প্রসঙ্গ টেনে ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বিবিএসের সর্বশেষ তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, দেশের ৭ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর সাক্ষরতার হার ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশ। এ ছাড়া ২২ দশমিক ১ শতাংশ জনগোষ্ঠী এখনো নিরক্ষর, যারা কখনো বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়নি বা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়েছে। এই বিশাল নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে স্বাক্ষরতার আওতায় আনতে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
স্বাআলো/এস