আজাদুল হক, বাগেরহাট: পরাশক্তির কবল থেকে দেশকে মুক্ত করতে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের পরই দেশের জনগন মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে।
এরপর ৯ মাস যুদ্ধ করে দেশের ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয় ও দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জতহানীর মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়। তাই ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্যদিয়েই স্বাধীনতার সুত্রপাত হয়। এ কারণে জাতির জনকের ওই ঐতিহাসিক ভাষণের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রতি বছর রাষ্ট্রীয়ভাবে এবং দলীয়ভাবে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৭ই মার্চ পালন করা হয়।
বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ শুক্রবার বিকেলে বাগেরহাটের সুন্দরবন সংলগ্ন শরনখোলা উপজেলায় এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
উপজেলার রায়েন্দা সরকারি পাইলট হাইস্কুল মাঠ চত্ত্বরে ব্যাপক জনসমাগমে আয়োজিত সভায় তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু ঘাতকরা তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দেয়নি। তার আগেই ঘাতকরা জাতির পিতাকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। কিন্তুু জাতির পিতার বেচে থাকা সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিতার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
শরনখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমল হোসেন মুক্তার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ৭ই মার্চ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন শরনখোলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত, ভাইস চেয়ারম্যান হাছানুজ্জামান পারভেজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর জব্বার, খোন্তাকাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন, রায়েন্দা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমেদ রুমি, সাউথখালী ইউপির চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন রাজিব ও বাদশা আলমগীর আলম প্রমূখ।
স্বাআলো/এসআর