নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে মারধর ও শর্টগান দেখিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে যশোর আদালতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনসহ দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মামলাটি করেছেন যশোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-২ এর পিপি ভুক্তভোগী মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল।
মামলার অপর আসামি শহরের ঘোপ এলাকার শাহীন। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে কোতোয়ালী থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী সৈয়দ কবীর হোসেন জনি।
যশোরে পুলিশ ফাঁড়ির মধ্যে পিপি মুকুলকে পেটালেন আ.লীগ সভাপতি মিলন
বাদী মামলায় উল্লেখ করেছেন, গত ৯ জুন সন্ধ্যায় শহরের মুজিব সড়কের জেলা আইনজীবী সমিতির ২নং ভবনের সামনে ফুটপাতে দুই নম্বর আসামি শাহীনসহ ১৫/২০ জন আসেন। এসময় তারা ফুটপাতের কয়েকটি দোকান জোর করে সরানোর চেষ্টা চালায়। এতে অন্য দোকানীরা বাধা দেন। একপর্যায় সেখানে উপস্থিত হন পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই হেলাল উদ্দীন। ফুটপাতের দোকানিরা ও এসআই হেলাল আইনজীবী মুকুলকে সেখানে ডেকে নেন। এসময় শাহীন তাদেরকে জানান, তিনি শহিদুল ইসলাম মিলনের লোক। একই সাথে শাহীন ফুটপাতে ব্যবসার জন্য ঈদ সালামী দাবি করেন। তাকে সালামী না দিয়ে দোকান বসালে হাত কেটে দেয়ার হুমকি দিয়ে শাহীনসহ অন্যরা চলে যান। পরবর্তীতে এসআই হেলাল দুই পক্ষকে ফাঁড়িতে ডাকেন। ওইদিন রাত ৯টায় বাদী দোকানীদের পক্ষে ফাঁড়িতে যান। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম মিলন ও শাহীনসহ আরো কয়েকজন সেখানে হাজির হন। কথাবার্তার সময় মিলন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে মুকুলকে। এক পর্যায় মুকুলকে চড় থাপ্পড় কিল ঘুষি মারেন মিলন। এসময় তার সাথে থাকা শাহীন শর্টগান দেখিয়ে মুকুলকে হত্যার চেষ্টা করেন। পরে ফুটপাতের দোকানী ও পুলিশ কর্মকর্তারা এসে তাকে উদ্ধার করেন। এ কারণে তিনি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, আইন কর্মকর্তা মুকুলকে মারধর ও হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে যশোরের আইনজীবীরা মঙ্গলবার বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে।
স্বাআলো/এস