নিজস্ব প্রতিবেদক: মাকে মারধর, খুন করার ভয় দেখানো, ভরণ-পোষণ না দেয়া এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে যশোরে পঞ্চানন দাস নামে এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে।
এই ব্যাপারে মঙ্গলবার ভুক্তভোগী সদর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের মৃত খগেন দাসের স্ত্রী শ্রীমতি পূর্ণিমা দাসী তার ছেলে অ্যাডভোকেট পঞ্চানন দাসের বিরুদ্ধে জেলা আইনজীবী সমিতিতে অভিযোগ দিয়েছেন।
একই সাথে পঞ্চানন দাসের মৃত ভাইয়ের স্ত্রী সুমা দাসীও ওই অভিযোগে স্বাক্ষর করেছেন।
ফলে অভিযোগের বিষয়টি আমলে নিয়েছে জেলা আইনজীবী সমিতি।
যশোরে গ্রাম পুলিশের সহায়তায় বাল্যবিয়ে বন্ধ
আইনজীবী পঞ্চানন দাসের মায়ের অভিযোগ, তার স্বামী খগেন দাস বেঁচে থাকা অবস্থায় তাকে এবং তার স্বামীকে মারধর ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছিলো পঞ্চানন দাস। কখনোই সে ভরণপোষণ দেয়নি। খগেন দাস মৃত্যুর সময় ২২.৬৬ শতক জমি রেখে যান। খগেন দাস মৃত্যুর পর পঞ্চানন দাস, তার মা পূর্নিমা দাসী, মৃত ভাই বিধান দাসের ছেলে বিলাশ দাস ও বিধানের স্ত্রী সুমা দাসকে উত্তরাধীকারী হিসেবে রেখে যান। কিন্তু পঞ্চানন প্রতিনিয়ত তাকে ও তার পূত্রবধু সুমা দাসীকে হয়রানি করে আসছে। খবর শুনে তার মেয়ে ও জামাই বাড়িতে আসলে তাদেরকে মারধর করে তাড়িয়ে দেন পঞ্চানন। সর্বশেষ গত ২৩ জুন সকাল ৯টার দিকে পঞ্চানন তার মাকে মারধর করে বাড়ি থেকে একবস্ত্রে তাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। ডাকচিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে পঞ্চানন হত্যা ও মামলা দিয়ে জেল খাটানোর হুমকি দেয়।
বর্তমানে তিনি দিনের বেলায় নিজ বাড়িতে অবস্থান করলেও রাতে পঞ্চাননের ভয়ে প্রতিবেশীদের বাড়িতে রাত কাটাচ্ছেন। এছাড়া প্রতিবেশীদেরও মায়ের পক্ষ নিলে মামলা দিয়ে জেলখাটানোর ভয় দেখাচ্ছেন পঞ্চানন। এমতাবস্থায় তিনি ভরণ-পোষণ ও নিরাপদে যাতে নিজ বাড়িতে অবস্থান করতে পারেন সেজন্য জেলা আইনজীবী সমিতির সহযোগিতা কামনা করেন।
যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী জুলু বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তারা কাজ করছেন।
স্বাআলো/এস