নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার ভাড়া নিয়ে তর্ক-বিতর্কের জেরে এক যাত্রীর মারধরে সাইফুল ইসলাম কিরণ (২৭) নামে এক চালকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত মিজান হোসেনকে আটক করেছে। তবে পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ঘটনাটি ঘটে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের সোমপাড়া বাজারে।
নিহত কিরণ একই ইউনিয়নের প্রসাদপুর দাই বাড়ির মৃত হানিফের ছেলে। আটক মিজান একই ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামের আব্দুল হাশেম মুন্সি বাড়ির মৃত নাজির আহম্মদের ছেলে এবং সোমপাড়া বাজারের থাই এ্যালুমিনিয়াম ব্যবসায়ী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেলে সোমপাড়া বাজার থেকে ব্যবসায়ী মিজানের স্ত্রী-সন্তানদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য অটোচালক কিরণের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এরপর অটোচালক কিরণ মিজানের ভাড়া না নিয়ে সেখান থেকে অন্য যাত্রী নিয়ে উপজেলার অলিপুরের দিকে চলে যান। সেখানে সন্ধ্যা ৭টার দিকে কিরণ বমি করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
কিরণের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তার স্বজনেরা মিজানের দোকানে হামলা চালিয়ে তাকে মারধরের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় মিজানকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। একই সাথে ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ নিহত কিরণের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। পুলিশের ভাষ্যমতে, মরদেহের শরীরে দৃশ্যমান কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে ওসি আরও বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
স্বাআলো/এস
