যশোরের আকাশ আজ মেঘে ঢাকা,
বাতাসে ভয়ের হিমেল গন্ধ।
তিন মাসে আঠারোটি প্রাণ,
নিথর দেহে লেখা নতুন ছন্দ।
জমির লোভে ভাইয়ের বুকে ছুরি,
ক্ষমতার দ্বন্দ্বে রক্তে ভেজে ধূলি।
পরকীয়ার ছায়া, পারিবারিক ফাঁদ,
জীবনের দামে মেটায় বিবাদ।
ঈদের দিনে বেড়াতে আসা সোহানা,
দশটি বছর, কত না তার বায়না।
পুকুর জলে মিলল ধর্ষিত লাশ,
থমকে গেল যেন সবুজ ঘাস।
লেপ-তোষকের বাক্সে সুচিত্রার শ্বাস,
ঘরের কোণে জমে আছে ত্রাস।
তরিকুলের বুকে গুলির চিহ্ন,
আগুনের শিখায় মাতুয়া গ্রাম ভিন্ন।
কুপিয়ে, পুড়িয়ে, গুলির আঘাতে,
কেউ ঘুমায় নিথর শীতল রাতে।
বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ের অপরাধে,
বিপ্লবের জীবন জড়ালো অবসাদে।
সন্ত্রাসী ফেরে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায়,
বাতাসে ভাসে অভিযোগের বারতা।
কর্তা বলেন, “এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা”,
“গ্রেপ্তার চলছে, ঘুচে যাবে যাতনা।”
কিন্তু যশোর শোনে শুধু কান্না,
আঠারোটি প্রাণের আকুল বায়না।
নিরাপত্তা আজ কাগজে লেখা,
ভয়ে কাঁপে শহর, পথঘাট একা।
স্বাআলো/এস