রাজাধানীর নয়াপল্টন, কাকরাইল ও নাইটিঙ্গেল মোড়ে দফায় দফায় পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশের ৪১ সদস্য আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ২২ জন রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে এবং ১৯ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে এ তথ্য জানান ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ফারুক হোসেন।
তিনি জানান, বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করেছে। এতে আহত ৪১ সদস্য হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এছাড়া ঢামেক হাসপাতালে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ২৬ জন আহত হয়ে চিকিৎসাধীন।
এদিকে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বিএনপির নেতাকর্মী দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক কালবেলা, একুশে টেলিভিশন ও ঢাকা টাইমসের সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
অপরদিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রধান বিচারপতির বাসভবন, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালসহ বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়েছে ও আগুন দিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ চলাকালীন সেখানে যোগ দিতে আসা আসা নেতা-কর্মীদের বহনকারী বাস ও পিকআপে বেলা ১২টার দিকে হামলা চালায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় মারমুখী বিএনপির কর্মীরা একজনকে পিটিয়ে মাথা থেঁতলে দেয়।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়ে বাসটি ভেঙে ফেলে। এরপর কাকরাইল মোড়ে পুলিশ ব্যারিকেড দিতে গেলে তা ভেঙে ফেলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা। বিএনপি নেতা-কর্মীরা ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিবি) ভবনে ঢুকে পড়ে। সেখানে রাখা কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেয়। কাকরাইল মোড়ের ট্র্যাফিক পুলিশ বক্স আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ।
কাকরাইলে সংঘর্ষের মধ্যেই সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছিলো বিএনপি। কয়েকটি ট্রাকের ওপর মঞ্চ বানিয়ে বিএনপির নেতারা বক্তব্য শুরু করেন। সংঘর্ষে জড়ানোর পর বেলা তিনটার দিকে সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।
স্বাআলো/এসএ