ঢাকা অফিস: পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে শনিবার (৩০ মার্চ) সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজারে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার (শাড়ি-লুঙ্গী) বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাইনুল হোসেন খান নিখিল এমপি ও সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।
সভাপতিত্ব করেন- মাইন উদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ। সঞ্চালনা করেন- এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, আজকে শেখ হাসিনা আমাদেরকে আপনাদের কাছে পাঠিয়েছেন কিছু ঈদ উপহার দিয়ে। এই উপহারগুলো আপনাদের অধিকার। এগুলোকে অনুদান মনে করবেন না। সরকার সর্বদা সচেষ্ট আছে আপনাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করার জন্য। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সৃষ্টি হয়েছিলো জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে।
তিনি আরো বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রীর গৃহায়ন কর্মসূচি একটা যুগান্তকারী জনহিতকর কর্মসূচি। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশও বিনা মূল্যে গৃহহীনদের ঘর দিতে পারে না। সেখানে আমাদের মতো নিম্ন মধ্যম আয়ের একটা দেশে সেটা সম্ভব হচ্ছে। আপনাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছে। তারা যাতে ৪র্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় পারদর্শী হতে পারে, আপনাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেনো দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে তৈরি হতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ১৫ বছর পিছনের দিকে তাকান দেখতে পাবেন বিএনপির সময় কি অবস্থা ছিলো। আপনাদের আয় কত ছিলো? রাস্তা-ঘাটের অবস্থা কি ছিলো? শিক্ষার সুযোগ কি ছিলো? চিকিৎসার ব্যবস্থা কি ছিলো? আপনাদের বাসস্থানের চিন্তা কে করে যাচ্ছেন? শেখ হাসিনা। এতো অর্জন সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আজকে যে ষড়যন্ত্র চলছে সেটা এ দেশের উন্নয়ন ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, এদেশের মেহনতি কর্মজীবী মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, আপনাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা আমাদের বাংলাদেশের অসম্প্রদায়িক প্রগতিশীল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কারণ একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও পঁচাত্তরের ঘাতক এবং তাদের দোসররা এখনো তৎপর রয়েছে পরাজয়ের বদলা নিতে। সুযোগ পেলেই তারা আঘাত হানবে। তাদের সামনে একমাত্র বাধা আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগকে ছলে বলে কৌশলে নিশ্চিহ্ন বা দুর্বল করতে পারলেই পরাজিত শক্তির উত্থান হতে পারে। সে কারণে সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের এক পরিকল্পিত নীলনকশার বাস্তবায়ন চলছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের দুর্ভাগ্য যে যখনই এদেশের দরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের সুযোগ এসেছে, তখনই স্বাধীনতা বিরোধীচক্র জামায়াত-বিএনপি ও পাকিস্তানী মতাদর্শীদের ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়ে তাদের ভাগ্য উন্নয়নের পথ পালটে দিয়ে এদেশকে একটা জঙ্গি ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে ঐ প্রতিবিল্পবী মহল।
তিনি বলেন, সম্প্রতিকালে ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা খুবই দুঃখজনক ও সন্দেহজনক ঘটনা এবং বিএনপি যেহেতু অগ্নিসন্ত্রাসের রেকর্ড আছে স্বাভাবিকভাবে সন্দেহভাজনদের তালিকায় তাদেরকে গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে। তাদেরকে সন্দেহের বাইরে ছেড়ে দেয়া যায় না। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়কে আহবান জানাবো অগ্নিকাণ্ডে বিএনপির সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখার জন্য। কারণ বিএনপি-জামায়াত সরকার এদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়েছিলো, আর শেখ হাসিনা সরকার জঙ্গিবাদ এদেশ থেকে নির্মূল করে দিয়েছে।
স্বাআলো/এস