বিনোদন

বিচ্ছেদের পর কঠিন সময় পার করেছি: মিথিলা

বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক | July 4, 2025

দীর্ঘ ১১ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনে ২০১৭ সালের অক্টোবরে বিচ্ছেদ হয় দেশের জনপ্রিয় তারকা দম্পতি তাহসান খান ও রাফিয়াথ রশিদ মিথিলার। গানের মাধ্যমে পরিচয় এবং ভালোবেসে ২০০৬ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তারা। এই জুটির একমাত্র কন্যা সন্তান আইরা তেহরীম খান। সম্প্রতি একটি পডকাস্টে এসে বিচ্ছেদ পরবর্তী জীবন এবং একক মাতৃত্বের কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন মিথিলা।

অভিনয় ও নানা সামাজিক কাজের পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিগত জীবনকেও সামলে নিচ্ছেন মিথিলা। কিন্তু তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সময়টা খুব সহজ ছিল না বলে জানিয়েছেন তিনি।

পডকাস্টে মিথিলা বলেন, হঠাৎ করে জীবনটা সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তন হয়ে গেছে। আমি আমার শ্বশুরবাড়ির মানুষদের সঙ্গে থেকেছি। আমার বাচ্চা আছে; তারপর আমি বুঝলাম, সেই জায়গাটা আমার ভবিষ্যৎ না।

সংসার পাতলেন তাহসান, ভাঙলো বুঝি মিথিলার!

সিঙ্গেল মাদার হিসেবে পথচলার চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে মিথিলা বলেন, মাতৃত্ব সহজ কিছু নয়, আর তার সঙ্গে ফুলটাইম চাকরি সামলানো। আমি ব্লেসড যে, আমি যেখানে কাজ করেছি, সেখানে ডে কেয়ার রয়েছে। একটা ব্রেস্ট ফিডিং বাচ্চাকে নিয়ে কাজ ব্যালেন্স করা, সেই সঙ্গে যখন এমন একটি ঘটনা হয়, যেটি জীবনের বড় একটি ইনসিডেন্ট বা ইভেন্ট (ঘটনা), যেখানে এমন একটি সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে, আমি ও আমার পার্টনার একসঙ্গে থাকব না; যেখানে বাচ্চাকে কেয়ারফুলি হ্যান্ডেল করতে হয়, একটা কমপ্লিকেটেড ব্যাপার।

তিনি জানান, যখন তাদের বিচ্ছেদ ঘটে, তখন মেয়ে আইরার বয়স ছিল মাত্র এক থেকে দেড় বছর, অর্থাৎ সে খুবই ছোট ছিল।

মিথিলা বলেন, তখন আমাদের পাব্লিসিটি, সমাজ, ফ্যামিলি, সবার ইনভল্ভমেন্ট, এটা-সেটা কীভাবে হ্যান্ডেল করব- সেটাই চ্যালেঞ্জিং ছিল। আর এটাই ভাবতে হতো, এখন আমাকে এই বাচ্চাকে একা মানুষ করতে হবে- যেটা ছিল একটা কঠিন সময়।

তবে তিনি এও উল্লেখ করেন যে, এই কঠিন সময়ে তিনি একেবারেই একা ছিলেন না। তার নিজের পরিবার এবং মেয়ের বাবার (তাহসান) সহযোগিতা সবসময়ই পাশে ছিল।

মিথিলার ভাষায়, আমার মেয়ে বড় হয়েছে এমন জায়গায় যেখানে আমার মা-বাবা, ভাই-বোন সবাই রয়েছে; একটি জয়েন্ট ফ্যামিলিতে। আর ওর বাবার সাথেও ওর খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে।

বিচ্ছেদ ও সিঙ্গেল মাদার হওয়ার চ্যালেঞ্জগুলো অকপটে স্বীকার করলেও মিথিলা বর্তমানে তার কর্মজীবন এবং মেয়ের দেখভাল নিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন।

স্বাআলো/এস

Shadhin Alo