খুলনা বিভাগ

যশোরে মহাসড়কে পিচের বদলে ইটের সলিং!

রুহুল আমিন রুহুল আমিন | June 23, 2025

যশোরের মহাসড়কগুলোতে সৃষ্ট খানাখন্দ ও গর্তগুলোতে পিচের পরিবর্তে ইটের সলিং দিয়ে জোড়াতালি সংস্কার করা হচ্ছে। ফলে সড়কগুলোর ভাঙাচোরা অবস্থা আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। যশোর-মাগুরা-ঢাকা, যশোর-খুলনা, যশোর-ঝিনাইদহ ও যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে আছে ভাঙা ইট, খোয়া ও খানা-খন্দক। এতে প্রতিদিন ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।

বিশেষ করে মোটরসাইকেল, ইজিবাইক ও থ্রি-হুইলার প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় পড়ছে। খানাখন্দে পড়ে যানবাহনের যন্ত্রাংশও নষ্ট হচ্ছে।

যশোর-খুলনা মহাসড়কের ১০ কিমি, যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের নাভারণ থেকে বাগআচড়া পর্যন্ত ৭ কিমি এবং যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের কালীগঞ্জ পর্যন্ত ১০ কিমি সড়ক এমন অবস্থায় আছে বলে জানিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)।

খাজুরা বাসস্ট্যান্ডের ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান বলেন, তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে এই সড়কগুলোর এমন বেহাল দশা। মাঝে মাঝে ইট বিছিয়ে সংস্কার করা হলেও তা টেকে না। বৃষ্টি বা ভারী গাড়ির চাপে কয়েক দিনের মধ্যেই আগের অবস্থায় ফিরে যায়।

নিউমার্কেট এলাকার কলেজছাত্র নাজমুল বলেন, “সংস্কারের নামে টেন্ডারবাজি আর দুর্নীতি হয়েছে। তাই মহাসড়কগুলো কয়েক বছর ধরে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।”

সিএনজি চালক হারুন মোল্লা বলেন, ইটের সলিং দিয়ে রাস্তা মেরামত কোনো সমাধান নয়। বরং এতে দুর্ঘটনা আরও বাড়ছে। বিশেষ করে রাতের বেলায় গর্ত ও ইটের খোয়া বোঝা যায় না। পিছলে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটছে।

যশোর সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া বলেন, বর্ষায় বিটুমিনের কাজ করা যায় না। তাই জনগণের দুর্ভোগ কমাতে আমরা প্রাথমিকভাবে ইট দিয়ে খানাখন্দ ভরাট করছি। এছাড়া জরুরি সংস্কারের জন্য ৭ কোটি টাকার চাহিদা ঊর্ধ্বতন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কমলেশ মজুমদার বলেন, সড়কগুলোর দুরাবস্থা সত্য। সওজের সাথে সমন্বয় করে জেলা প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে সড়কগুলোর এই দুরাবস্থা নতুন নয়। স্থায়ী সংস্কারের কোনো উদ্যোগ না থাকায় সাময়িক মেরামতই একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক পরিকল্পনা, সময়মতো সংস্কার কাজ শুরু ও টেন্ডার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত না হলে এ দুর্ভোগ লাঘব হবে না।

স্বাআলো/এস

Shadhin Alo