যশোর জেলা আ.লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা হলেও আটক নেই

| June 23, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে সরকারি আইন কর্মকর্তা (পিপি) অ্যাডভোকেট মুস্তাফিজুর রহমান মুকুলকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম প্রকাশ্যেই রয়েছে। এদিকে ওই আসামিকে আটক না করায় সাধারণ মহলে নানা ধরনের সমালোচনা শুরু হয়েছে।

মামলায় জানা গেছে, অ্যাডভোকেট মুস্তাফিজুর রহমান মুকুল যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর সরকারি আইন কর্মবকর্তা। জেলা আইনজীবী সমিতির দুই নম্বর ভবনে তার চেম্বার রয়েছে। গত ৯ জুন সন্ধ্যা ৭টার দিকে ১৫/২০ জন লোক নিয়ে আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে থাকা ফুটপাতের দোকান উচ্ছেদের চেষ্টা করেন আসামি শাহিন। এসময় জোরপূর্বক দোকান উচ্ছেদে সেখানকার ব্যবসায়ীরা বাধা দিলে পুরাতন কসবা ফাঁড়ি পুলিশের এসআই হেলাল উজ্জামান সেখানে হাজির হন। এরই মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ঈদের সেলামি বাবদ চাঁদা দাবি করে। এই ঘটনায় একইদিন রাত ৯টার দিকে ফাঁড়িতে সালিশি বৈঠক বসে। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন ও অপর আসামি শাহিনের নেতৃত্বে আরো ১০/১৫ জন বাদী অ্যাডভোকেট মুৃস্তাফিজর রহমান মুকুলকে গালিগালাজ করেন। বাদীকে চড়থাপ্পড় মারে এবং শহিদুল ইসলাম মিলনের শর্টগান দিয়ে বাদীকে হত্যাচেষ্টা করেন। এরপরে বাড়াবাড়ি করলে জীবনে শেষ করার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এতে বাদী মানষিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছেন। ফলে তিনি যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন।

যশোরে আইনজীবীকে মারধর, আ.লীগ সভাপতি মিলনসহ ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

এই ঘটনায় থানা পুলিশ অনীহা প্রকাশ করায় আদালতে এই মামলাটি করা হয়। আদালতের নির্দেশে নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করে থানা পুলিশ। এদিকে এই মামলার আসামি শহিদুল ইসলাম মিলন ও তার সহযোগী শাহিনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়ায় মামলায় আটক করছে না পুলিশ।

ফলে আবারো তারা বেপরোয়া হয়ে বাদীকে মারপিট খুন জখম করতে পারে এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে এই ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কেএম শফিকুল আলম চৌধুরী বলেছেন, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। ফলে ঘটনার সত্যতা যাচাই না হওয়া পর্যন্ত আসামি আটক করা সম্ভব নয়। তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পেলেই আসামিদের আটক করা হবে।