নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রতারণার মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলা ও ধর্ষণের অভিযোগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের এসআই সুমন বসুকে (৩৬) গ্রেফতার করেছে যশোর পিবিআই।
ভুক্তভোগী তমা সরকার (ছদ্ম নাম) (২৭) যশোরের অভয়নগর উপজেলার বাসিন্দা।
তিনি কৃষি ডিপ্লোমা পাশ করার পর কোন চাকরি না পাওয়ায় অনলাইনে কাজ করেন এবং সেখান থেকে তিনি অথÑ উপাজÑন করেন।
আসামি সুমন বসু (৩৬) গোপালগঞ্জের ছোট মানিকহার গ্রামের বাসিন্দা।
আসামি সুমন বসুর সাথে তমা সরকারের ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। আসামি নিজেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের এসআই বলে পরিচয় দেয়। পরিচয়ের পর হতে আসামির সাথে বাদীর মোবাইলে কথা হতো। কথা বলার একপর্যায়ে বাদীর সাথে আসামির শখ্যতা ও দুইজনের মধ্যে ভালোবাসা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আসামির সাথে বাদীর প্রেমের সম্পর্কের কারণে আসামি মাঝে মধ্যে বাদীর বাবার বাড়িতে আসা যাওয়া করতো এবং বাদীকে বিয়ে করবে মর্মে প্রলোভন দেখাতো। আসামি বাদীকে বিভিন্ন সময় যশোরের বিভিন্ন হোটেলে ও নড়াইল জেলার অরুনিমা রিসোর্টে রুম ভাড়া নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আসামি বিভিন্ন সময় তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বাদীর নিকট হতে বিকাশ ও নগদ একাউন্টের মাধ্যমে ধার হিসাবে ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ৮৮০ টাকা গ্রহণ করে।
পরবতীতে আসামির আচরণে সন্দেহ হলে বাদী আসামির গ্রামের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে সে বিবাহিত তার স্ত্রী সন্তান আছে। তখন বাদী তার দেয়া টাকা ফেরত চাইলে সে ফেরত দিতে অস্বীকার করে এবং বাদীকে বিয়ে করবে না মর্মে জানিয়ে দেয়।
আসামি বাদীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ এবং তার নিকট হতে ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ৮৮০ টাকা ধার হিসেবে নিয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ করতো, আত্মসাৎ করার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পিবিআই পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করে।
উক্ত মামলাটি পিবিআই, যশোর জেলা স্ব-উদ্দ্যোগে গ্রহণ করে মামলার তদন্তভার এসআই হাবিবুর রহমানএর উপর অর্পণ করা হয়। মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাবিবুর রহমান ঘটনা সংক্রান্তে জড়িত আসামিকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে স্বীকার করলে বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, আমালী আদালত, যশোর আদালতে সোপর্দ করা হয়।
স্বাআলো/এস