ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় বিএনপি’র অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে মহব্বত হোসেন (৬০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
এই ঘটনায় আহত হয়েছেন পাঁচজন, যাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রবিবার (১ জুন) উপজেলার জামাল ইউনিয়নে এই সংঘাতের ঘটনা ঘটে।
নিহত মহব্বত হোসেন উপজেলার নাকো বাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং মৃত হবিবর বিশ্বাসের ছেলে। সংঘর্ষে মহব্বত হোসেনসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় মহব্বত হোসেনসহ কয়েকজনকে প্রথমে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের যশোর জেনারেল হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। দুর্ভাগ্যবশত, ঢাকা নেয়ার পথে ফরিদপুরে পৌঁছালে মহব্বত হোসেন মারা যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই জামাল ইউনিয়নে বিএনপির দুটি গ্রুপের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য প্রতিষ্ঠা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। রবিবার দুপুরে সেই উত্তেজনা সশস্ত্র সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষ রড, লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে।
ঝিনাইদহে বন্ধুদের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
সংঘর্ষের পর থেকে পুরো এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি সেনা বাহিনীকেও এলাকায় টহল দিতে দেখা গেছে।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সহিদুল ইসলাম হাওলাদার জানান, ঘটনার খবর পেয়ে তিনি নিজেই ঘটনাস্থলে ছুটে গেছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশি অভিযান চলছে। তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এই ইউনিয়নে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। স্থানীয়ভাবে একাধিকবার এই বিরোধ মীমাংসার চেষ্টা করা হলেও তা সফল হয়নি। রাজনৈতিক কোন্দল ও আধিপত্যের লড়াইয়ের জেরেই আজকের এই প্রাণহানি ঘটেছে বলে তারা জানান। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।
স্বাআলো/এস