সম্পদাকীয়: যশোরের আদালত অঙ্গন টাউটমুক্ত করার শুভ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রথমে কাজটি শুরু হয়েছে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এলাকায়।
কাজটি শুরু করেছে যশোর জেলা আইনজীবী সমিতি। এসময় আইনজীবী সহকারী পরিচয় দেয়া কয়েকজন টাউটকে ধরে তাদের কাছ থেকে ডায়েরি কেড়ে নেয়া হয়। এছাড়া কয়েকজনের কাছ থেকে পরিচয়পত্র কেড়ে নেয়া হয়।
তবে এদিন শেষ বারের মতো সকলকে সতর্ক করা হয়। এর বাইরেও যারা নির্ধারিত ড্রেস কোড না মেনে আদালতে প্রবেশ করে তাদেরকে ভর্ৎসনা করা হয়। ১৫ মে বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে শুরু করে দুই ঘন্টাব্যপী এ অভিযান চালানো হয়।
এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা আইনজীবী সহকারি সমিতির সভাপতি ওমর আলী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মাজিদের নেতৃত্বে একটি টিম কাজ শুরু করেন। এ বিষয়ে যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী জুলু বলেন, টাউটদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না।
আইনজীবী, শিক্ষানবীশ আইনজীবী এমনকি আইনজীবী সহকারী যেই অন্যায় করুক কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। সকলেরই নিয়মের মধ্যে থাকতে হবে। এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আদালতের পবিত্র অঙ্গন অবিত্র করে তুলেছে এই টাউটরা। তারা সহজ সরল মানষের সাথে প্রতারণা করে তাদেরকে পথে বসাতেও দ্বিধা করে না। পেশা নেই, পরিচয় নেই, অথচ আইনজীবী সহকারী সেজে মামলা মোকদ্দমায় জিতিয়ে দেবার নাম করে টাউটরা মানুষের কষ্টার্জিত টাকা হাতিয়ে নেয়।
এক সময় তাদের আর খোঁজ পাওয়া যায় না। যশোর জেলা আইনজীবী সমিতি বিষয়টি অনুধাবন করে আদালত অঙ্গন থেকে তাদের উচ্ছেদ করার শুভ উদ্যোগ নিয়ে প্রশংসিত হয়েছে। আইনজীবী সমিতির সাথে আইনজীবী সহকারীরা যুক্ত হয়ে অভিযানকে শক্তিশালী করে তুলেছে। তাদের এ কাজটি আদালত অঙ্গন পবিত্র করার মাইল ফলক হয়ে থাকবে। আমারা আশা করবো এ কাজটি যেন মাঝ পথে ঝিমিয়ে না পড়ে। টাউট বিতাড়নের ফলোআপ থাকতে হবে। তা না হলে অপরাধীরা আগের চেয়ে শক্তি সঞ্চয় করে দুর্নীতি নামবে।
স্বাআলো/এস