বাণিজ্যিকভাবে চালুর পরদিনই কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটের রেললাইনের বিটের নাট-বল্টু খুলে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পর ঝুঁকির শঙ্কায় ৩০ মিনিট বিলম্বে ছেড়েছে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেন।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে কক্সবাজারের রামু উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়নের কাহাতিয়া পাড়ায় রেললাইনে এই ত্রুটি ধরা পড়ে। এরপর কক্সবাজার আইকনিক স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ গোলাম রব্বানীকে বিষয়টি জানানো হয়। পরে লাইনের সংস্কারকাজ শুরু করলে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ৩০ মিনিট দেরিতে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়।
গোলাম রব্বানী জানান, শনিবার সকালে সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের রামু উপজেলার কাহাতিয়া পাড়ায় রেললাইনের বিটের নাট-বল্টু খুলে ফেলার খবর পান তিনি। পরে বিষয়টি রেল অধিদপ্তরসহ প্রশাসনের সকল স্তরে অবহিত করেন। এরপর রেল প্রকৌশলসহ নির্মাণকাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে রেললাইনের বিটের খুলে ফেলা নাট-বল্টু পুনঃসংযোজন ও মেরামত কাজ শুরু করেন নির্মাণ শ্রমিকরা। তা শেষ করে ট্রেন চলাচল করার উপযোগী করতে দুপুর সাড়ে ১২টা বেজে যায়।
তিনি বলেন, রেললাইনের এ ত্রুটিপূর্ণ স্থান দিয়ে ট্রেন চলাচলে ঝুঁকি থাকায় কক্সবাজার এক্সপ্রেস পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী ছাড়া সম্ভব হয়নি। পরে রেললাইন চলাচল উপযোগী হওয়ার পর দুপুর ১টায় কক্সবাজার আইকনিক স্টেশন থেকে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়।
তবে এটি নিছক চুরির ঘটনা, নাকি নাশকতার চেষ্টা- তা নিশ্চিত করতে পারেননি কক্সবাজার রেলের এ কর্মকর্তা।
এদিকে খবর পেয়ে শনিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রামু উপজেলা ইউএনও ফাহমিদা মোস্তফা ও ওসি আবু তাহের দেওয়ানসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা।
এ ব্যাপারে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান জানান, খবরটি শোনার পর প্রশাসনের কর্মকর্তারাসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাস্থলে রেললাইনের বিটের নাট-বল্টু খুলে ফেলা অবস্থায় দেখা গেছে।
ঘটনাটি নিছক চুরির ঘটনা, নাকি কোনো ধরনের নাশকতার চেষ্টা- তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
আবু তাহের বলেন, ঘটনাটি কারা, কী উদ্দেশ্যে ঘটিয়েছে এবং যারা জড়িত, তাদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে।
স্বাআলো/এসএ