সম্পাদকীয়: নিয়তির নির্মম পরিহাস পরিহাস ফরিদপুর জেলার মুকসুদপুর উপজেলায় বাস ও ট্রাকের মাঝে চাপা পড়ে ইজিবাইকের যাত্রী দুই ভাইসহ চারজন নিহত হয়েছে। এতে আরো ১৮ জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ডোমরাকান্দিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, মুকসুদপুর উপজেলার বরইতলা বিশ্মমবরদী গ্রামের দুই ভাই আবুল বাশার শেখ (৪০) ও আবুল খায়ের শেখ (৩৫), একই গ্রামের ইয়ার আলী (৪০) ও চুন্নু শেখের ছেলে হাসান শেখ (২৬)।
বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী সাকুরা পরিবহনের একটি বাস একইদিক থেকে আসা একটি ট্রাককে সাইড দিতে যায়। এ সময় একটি ইজিবাইক বাস ও ট্রাকের মাঝে চাপা পড়ে এবং বাসটি মহাসড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়।
এ দুর্ঘটার জন্য অন্য কাউকে দায়ী না করে বলবো এটা নিয়তির নির্মম পরিহাস। যখন সড়কে যানবাহন চলাচলে বিধিবদ্ধ নিয়ম কার্যকর হচ্ছে না তখন এ কথা বলা ছাড়া আর উপায় কি? যদি স্থানীয় জনতা উত্তেজনা বশত প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করতো অথবা আরো আরো কিছু করে বসতো। ঘটনা যাই হোক নিহতদের পরিবারের এ ক্ষতি পোষাবে কে? আমরা জানিনে আর কতো প্রাণ এভাবে গেলে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সব ক্ষেত্রেই দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্টদের একটা গাছাড়া ভাব। চাকরি করতে এসেছেন এটিই যেনো তাদের কাছে বড় পাওনা। কিন্তু এই চাকরিটা নিলে তার ওপর যে কতকগুলো দায়িত্ব বর্তায় তা তাদের মাথায় থাকে না। যদি সড়কে চলাচলের নিয়ম-নীতি কড়াকড়িভাবে ব্যবস্থা থাকতো তাহলে এ বিয়োগান্ত ঘটনাটি ঘটতো না। আমরা বলবো যে যেখানে আছেন সে সেখান থেকে নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটবে না।
স্বাআলো/এস