নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘূর্ণিঝড় রেমাল রবিবার রাতে যশোরেও তাণ্ডব চালিয়েছে। প্রবল এ ঘূর্ণিঝড়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে গেছে ও ঘরবাড়ি ভেঙে মানুষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়া বিভিন্ন সড়কের দুই পাশের সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ড ভেঙে গেছে। রাতভর শহর ও গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিলো।
খুলনা আবহাওয়া অধিদফতরের ইনচার্জ আমিরুল আজাদ জানান, গত রাত থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত খুলনাঞ্চলে ৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। বর্তমানে ঘূণিঝড়টি স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ও সকাল ১১টার পর এটি যশোরের স্থলভাগে অবস্থান করছে। নিম্নচাপের প্রভাবে যশোরাঞ্চলে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে ও বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা আবহাওয়া এমনই থাকবে বলে তিনি জানান।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডব, প্লাবিত গ্রামের পর গ্রাম
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় রেমাল রবিবার রাত ৮টা নাগাদ উপকূলে আঘাত হানার পর রাত ১১টায় কুয়াকাটায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিলো ১০২ কিলোমিটার। আর রাত ১২টার পর যশোরে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব শুরু হয়। এসময় প্রবল বেগে বাতাস বইতে থাকে ও সাথে ছিলো বৃষ্টিপাত। মাঝে রাত ৩টা নাগাদ ১৫ মিনিটের বিরতি দিয়ে ফের শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া। যা চলে ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। এতে যশোরসহ পাশ্ববর্তী এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। শহর ও আশেপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যক গাছপালা উপড়ে গেছে। সেইসাথে কিছু কাঁচা ঘরবাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের দুই পাশের সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ড ভেঙে গেছে। কিছু বিলবোর্ড ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে গেছে ও কিছু রাস্তায় পড়ে রয়েছে।
এছাড়া রাত ১২টা নাগাদ ঝড়ের তাণ্ডব শুরু হলে কর্তৃপক্ষ ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে শহরে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়। এতে গোটা শহর অন্ধকারে ঢেকে যায়। ঝড় থেমে গেলে শহরের পরিস্থিতি জেনে কর্তৃপক্ষ ভোর ৫টার বিদ্যুৎ চালু করে। গ্রামাঞ্চলেও বিদ্যুতের একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেখানে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকেই বিদ্যুৎ বন্ধ ছিলো। যা দুপুর ১২টা পর্যন্ত অব্যাহত ছিলো।
স্বাআলো/এস