চলতি মাসের মধ্যে রোডম্যাপ, এরপর ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ভোট আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে গঠনতন্ত্র সংস্কার না করে ডাকসু নির্বাচন কার্যকরী হবে না। এজন্য ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংস্কারের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ অবস্থায় বিষয়টি নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রশিবির, ছাত্রদল ও ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এই প্রতিবেদক।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, আমরা নতুন করে ক্ষমতার রাজনীতি চাই না। আমরা চাই, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ কেন্দ্রিক রাজনীতি শক্তিশালী হোক।
ঢাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, দ্রুত সময়ে নির্বাচন চাই। আর দ্রুত সময়ের মধ্যে অন্তত রোডম্যাপটা চাই।
তিনি আরো বলেন, সংস্কার এবং ডাকসু নির্বাচনের প্রক্রিয়া একইসঙ্গে চলতে পারে বলে মনে করি।
এর আগে, গত ৩ জানুয়ারি সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে বিবিএ প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আমরা অত্যন্ত আগ্রহী। আমরা চাই, সবার মধ্যে এ নির্বাচন নিয়ে ঐক্য তৈরি হোক। সবার মধ্যে এ ব্যাপারে যেন চুক্তি বা সমঝোতার মতো কিছু হয়।
তিনি আরো বলেন, আমরা সবাইকে নিয়েই একটা উৎসবমুখর পরিবেশে এই নির্বাচন আয়োজন করতে চাচ্ছি। দীর্ঘদিন পর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, আমরা এই পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে যত দ্রুত সম্ভব সবাইকে নিয়ে নির্বাচন সম্পন্ন করতে চাই। এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা কাম্য।
সে সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ২৮ বছরের ব্যবধানে ডাকসুর সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৯ সালের মার্চ মাসে। সেই সংসদের মেয়াদ শেষ হয় ২০২০ সালের মার্চে। সেবারের নির্বাচনের আগেও ডাকসুর নীতিমালা সংস্কার, সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি, ছাত্রনেতাদের কারো কারো ছাত্রত্বসংক্রান্ত জটিলতার বিষয়ে নানা সংস্কারের দাবি উঠেছিল। তবে কোনো রকম সংস্কার ছাড়াই একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো সেবার। তারপর আবার বন্ধ হয়ে যায় ডাকসু নির্বাচন। তখন থেকে বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীরা দাবি জানালেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আর নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়নি।
স্বাআলো/এস