জেলা প্রতিনিধি, পটুয়াখালী: ঘূর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে বিধ্বস্ত হয়েছে পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার পাংগাশিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়টি। স্কুল সংলগ্ন পায়রা নদীর বেরীবাঁধ ভেঙে সমগ্র এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়, এ সময় স্কুলের মাঠ তলিয়ে ভবন সহ টিনের ঘরটি প্লাবিত হয়। দুইদিন ব্যাপী প্রচন্ড ঝড়ো বাতাসসহ বৃষ্টি ও পানির তোড়ে স্কুলের সীমানা বেড়াটি সম্পূর্নরুপে বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এ ছাড়াও স্কুলের একমাত্র টিনসেড ঘরটির ভিটের মাটিসহ টিন গুলি বিধ্বস্ত হয়ে টিনসেডটি ব্যবহারের সম্পূর্ন অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল: ২০ জেলায় সাত হাজার কোটি টাকার ক্ষতি
উল্লেখ্য, নারী শিক্ষার বিশেষায়িত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৫ সালে সরকারী সহায়তায় শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের মাধ্যমে একটি একতলা ভবন নির্মান করা হলেও দীর্ঘদিনের সংস্কারের অভাবে ভবনটি সম্পূর্ন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।এমনকি ভবনের তিনটি রুমের দুইটিতে কোন জানালাও নেই ,দরজা গুলিও জরাজীর্ন,আরেকটি রুমের জানালা টিন দিয়ে জোড়াতালি দিয়ে আটকিয়ে রাখা হচ্ছে বিদ্যালয়ের বিজ্ঞানাগারের মালামাল ,বঙ্গবন্ধু কর্নারের বইগুলি সহ বিদ্যালয়ের পাঠাগারের বইগুলিকে চুরির হাত থেকে রক্ষার জন্য । যার ফলে ঐ রুম গুলিতে গরমের দিনে শ্রেনী কার্যক্রমও চালানো যাচ্ছে না প্রচন্ড গরমের মধ্যে জানালা না খুলতে পারা সহ ছাদের বীমের রড বের হয়ে যাওয়ায় বৈদ্যুতিক পাখা লাগাতে না পারার কারনে।
ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে শেষে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ বিতরণ
এ ছাড়াও ঐ ভবনের বাকী দুইটি রুমেও পাখা লাগানো যাচ্ছে না। একদিকে যেমন ছাদের বীমের রড বের হয়ে ঝুকিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করা সহ জানালা না থাকায় চুরির হাত থেকে ফ্যান রক্ষা করা যাবে না বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক সোহারাব হোসেন।
তিনি আরো জানান, ভবনের সংস্কারের জন্য শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে আবেদন প্রেক্ষিতে পরিদর্শনে এসে তারা মতামত জানান,ভবনটি সংস্কারের উপযোগী নয়।এ দিকে ঘূর্নিঝড় রেমালের প্রচন্ড আঘাতে একদিকে ক্ষতবিক্ষত স্কুলের টিনসেড সহ সিমানা বেড়া,অন্যদিকে প্রচন্ড গরমে বৈদ্যুতিক পাখাবিহীন ঝুকিপূর্ন ভবনে জীবনের ঝুকিনিয়ে ক্লাস করে শিক্ষার্থীরা প্রচন্ড গরমে প্রতিনিয়ত অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
পটুয়াখালীতে অগ্নিকান্ডে চারটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক মাওলানা আবু ইউসুফ বলেন,মেয়েদের বিশেষায়িত স্কুলের নিরাপত্তা সহ স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু রাখতে বিদ্যালয়ের সিমানা বেড়া সহ টিনসেডঘর নতুন করে নির্মান প্রয়োজন।
স্বাআলো/এস