অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়েছেন। একই সাথে তিনি নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রেস সচিব জানান, নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে আগামী ১ নভেম্বর থেকে, যখন নির্বাচনকালীন পদায়ন শুরু হবে। এই পদায়নের অংশ হিসেবে ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসকদের দায়িত্ব বণ্টনের জন্য একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে শ্বশুরবাড়ি বা আত্মীয়-স্বজনদের এলাকায় কোনো কর্মকর্তাকে পদায়ন করা হবে না। এছাড়াও, বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে যারা রিটার্নিং অফিসার, পোলিং এজেন্ট এবং প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের এবারের নির্বাচনে এই ধরনের কোনো দায়িত্বে রাখা হবে না।
শফিকুল আলম আরো উল্লেখ করেন যে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের ভেতরে ও বাইরে থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এই ধরনের অপপ্রচার ঠেকাতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। একই সাথে, সামাজিক মাধ্যমে ভুল তথ্য (মিসইনফরমেশন) এবং বিভ্রান্তিমূলক তথ্য (ডিসইনফরমেশন) প্রতিরোধের জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠনের কথাও জানানো হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার উদ্ধৃতি দিয়ে প্রেস সচিব বলেন, ড. ইউনূস সতর্ক করে দিয়েছেন যে, “নির্বাচন বানচালে দেশের ভেতর থেকে, বাহির থেকে অনেক অপশক্তি কাজ করবে। বড় শক্তি নিয়ে তারা নির্বাচন বানচালে চেষ্টা করবে। হঠাৎ করে আক্রমণ চলে আসতে পারে। এই নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে। যত ঝড়-ঝাপ্টা আসুক আমাদের সেটা অতিক্রম করতে হবে।” তিনি এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞার কথা ব্যক্ত করেছেন।
স্বাআলো/এস
