জেলা প্রতিনিধি, নড়াইল: নিখোঁজের চারদিন পর বাগেরহাট থেকে নড়াইল সদর হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ে চাকরিত গৃহবধূ সুরাইয়া শারমিন বৃষ্টির (৩৩) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ফকিরহাট উপজেলার নলধা মৌভোগ ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের একটি বাড়ির পেছনের পুকুর থেকে বৃষ্টির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) নিখোঁজ হন বৃষ্টি। সে নড়াইল শহরের আলাদাতপুর এলাকার মৃত আব্দুল কমির মোল্যার মেয়ে।
নিহতের মা সবেজান বেগম ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার নড়াইল সদর থানায় এক জিডিতে অভিযোগ করেন, শুক্রবার বিকেলে যশোরে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন বৃষ্টি।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সুরাইয়া শারমিন বৃষ্টি গত কয়েক বছর ধরে নড়াইল সদর হাসপাতালে আউটসোর্সিং-এ চাকরি করছেন। তার একমাত্র কন্যা সন্তান ৬ষ্ট শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। স্বামী মাহফুজ রহমান ছোট একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। নিহতের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে পরিবারের সদস্যরা বৃষ্টির লাশ আনতে বাগেরহাটে গিয়েছেন। কথা বলার মতো কেউ নেই।
এ বিষয়ে সবেজান বেগম ও নিহতের স্বামী মাহফুজ আলমকে ফোন করলে তারা সাড়া দেননি।
এদিকে স্থানীয় একটি সূত্র জানান, বৃষ্টির সাথে বাগেরহাটের একটি ছেলের পরকীয়া সম্পর্ক ছিলো।
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেুল ইসলাম বৃষ্টির লাশ বাগেরহাটের হাটের ফকিরহাট থেকে উদ্ধারের কথা স্বীকার করে বলেন, ফকিরহাট থানা পুলিশের সাথে কথা হয়েছে, তারা জানিয়েছেন বৃষ্টির মরদেহ বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। সিহতের পরিবার মরদেহ আনতে বাগেরহাট গিয়েছে। শোনা যাচ্ছে নিহতের সাথে একটি ছেলের পরকীয়া সম্পর্ক ছিলো। নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহৃ আছে কিনা তা বলতে পারবো না। ময়নাতদন্তের পর হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
স্বাআলো/এস