নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরের কেশবপুরে সিজারের পর শম্পা খাতুন নামে রোগীর মৃত্যু অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) উপজেলার ক্রিস্টাল ডায়গনস্টিক এন্ড হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শম্পা খাতুন হাসাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।
যশোরে চাঁদা না পেয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর, দুই সন্ত্রাসী আটক
ক্রিস্টাল ডায়গনস্টিক এন্ড হাসপাতালের ম্যানেজার শফিকুর রহমান জানান, জুয়েল নামে এক ব্যক্তি দুইদিন আগে রোগী শম্পা খাতুনকে হাসপাতালে ভর্তি করে। বুধবার রোগীটি সিজার করার দুই ঘণ্টা পর তার খারাপ অবস্থা দেখা দেয়। পরে রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় পাঠানো হয়। কিন্তু পথিমধ্যে রোগীটি মারা যায়। তবে, রোগীর স্বজনদের দাবি ক্রিস্টাল ডায়াগনস্টিক এন্ড হাসপাতালের মধ্যেই রোগীটি মারা গেছে।
নিহতের স্বামী শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে জানান, ডাক্তারের অবহেলার কারণে আমার স্ত্রী মারা গেছে।
কেশবপুরে মাছের ঘেরে মিললো বৃদ্ধার মরদেহ
কেশবপুর থানা হেলথ অফিসার (টিএইচও) ডা. আলমগীর হোসেন বলেন, রোগীটির অপারেশন করার সময় ক্রিস্টাল ডায়গনস্টিক এন্ড হাসপাতালের যাবতীয় নিয়ম-কানুন মেনেই তারা অপারেশন করেছিলো ও এই সিজার রোগীর অপারেশন ছিলো তৃতীয় স্টেপ। সেখানে এনেসথেসিয়া ডাক্তার অপারেশনের করার সময় উপস্থিত ছিলেন। আমার জানা মতে পোস্ট একলামশিয়া হলে এই রোগী বাঁচানো খুব কঠিন হয়ে যায়।
তিনি সিভিল সার্জনকে অবহিত করে ক্রিস্টাল ডায়াগনস্টিক এন্ড হাসপাতালের যাবতীয় অপারেশন বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন। তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নিবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
স্বাআলো/এস/এসআর