নিজস্ব প্রতিবেদক: কালোব্যাজ ধারণ, কবর জিয়ারত, দোয়া মাহফিল ও স্মরণসভার মধ্য দিয়ে আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) পালিত হলো শহীদ সাংবাদিক শামসুর রহমান কেবলের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রেসক্লাব যশোর থেকে সাংবাদিকরা কালোব্যাজ ধারণ করে কারবালা কবরস্থানে যান। সেখানে প্রেসক্লাব যশোর, যশোর সংবাদপত্র পরিষদ, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোর, যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ সাংবাদিক শামসুর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে কারবালা চত্বরে এক মিনিট নিরবতা ও তার রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়।
এরপর প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে ক্লাবের সদস্যসহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। মাহফিলে মরহুম সাংবাদিক শামসুর রহমানের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।
এসব কর্মসূচিতে প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমানসহ সিনিয়র সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
শেষে যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি মনোতোষ বসুর সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা একরাম-উদ-দ্দৌলা, সম্পাদক মবিনুল ইসলাম, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রিমন খান, সাজেদ রহমান বকুল, আমিনুর রহমান মামুনসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এইচ আর তুহিন।
দীর্ঘ দুই যুগেও সাংবাদিক শামসুর রহমান হত্যা মামলার বিচার শুরু না হওয়ায় বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, যশোরের প্রথিতযশা সাংবাদিক শামছুর রহমান কেবল হত্যা মামলার কার্যক্রম গত ১৯ বছর ‘ফাইলবন্দি’ হয়ে পড়ে রয়েছে। এ কারণে দু’যুগেও আলোচিত এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করা যায়নি। দীর্ঘ দুই যুগেও মামলাটির বিচার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ যশোরের সাংবাদিক সমাজ ও নিহতের পরিবার। অবশ্য যশোরের আইনজীবীরা বলেছেন, সরকার উদ্যোগ নিলেই এ হত্যাকান্ডের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব। ২০০০ সালের ১৬ জুলাই রাতে জনকণ্ঠের যশোর অফিসে কর্মরত অবস্থায় আততায়ীর গুলিতে নিহত হন সাংবাদিক শামছুর রহমান কেবল।
স্বাআলো/এস