জেলা প্রতিনিধি, নড়াইল: জেলার লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা চৌরাস্তা এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত হন হুমায়ূন ঠাকুর (৫০)।
ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ৯ টার দিকে মারা গেছেন।
এ ঘটনায় তার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত হুমায়ূন ঠাকুর লোহাগড়া পৌর সভার ৮ নং ওয়ার্ডের কচুবাড়িয়া এলাকার মৃত নিরু ঠাকুরের ছেলে। তিনি পেশায় একজন মাংস বিক্রেতা ছিলেন। তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা চৌরাস্তা এলাকার ঢাকা বাস কাউন্টারের সামনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ৫ মার্চ (মঙ্গলবার) রাতে লোহাগড়া পৌর এলাকার রাজুপুর গ্রামের হায়াতুরের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে আবদুল্লাহ ঠাকুর শিপলা (২৪) ও রুমান (২৭) মারধোর করে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় দূর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্রে দিয়ে কুপিয়ে হুমায়ুন ঠাকুরকে (৫০) মারাত্মক আহত করে। স্থানীয় লোকজন হুমায়ুন ঠাকুরকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
পরবর্তীতে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে স্বজনরা দ্রুত তাকে প্রাইম হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তিনদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় থেকে শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ৯ টায় হুমায়ূন ঠাকুর মৃত্যুবরণ করেন।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাঞ্চন রায় মাংস ব্যবসায়ী হুমায়নের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সংঘর্র্ষের ঘটনায় হায়াতুর শেখ ও হামীম শেখ নামে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় গত ৬ মার্চ (বুধবার) দায়েরকৃত মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন আছে, পরিস্থিতি বর্তমান শান্ত।
স্বাআলো/এসআর