সম্পাদকীয়: হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে যশোরের একজন শিক্ষকসহ দেশে তিন শিক্ষক মারা গেছেন। এ ছাড়া আরো চারজন মারা গেছেন। ২৮ এপ্রিল এসব বিয়োগান্ত ঘটনা ঘটে। হিট স্ট্রোকে মৃত শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন যশোর সদর উপজেলার আমদাবাদ হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক আহসান হাবীব (৩৭), চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার খিতাপচর আজিজিয়া মাবুদিয়া আলিম মাদরাসায় শিক্ষক মাওলানা মোস্তাক আহমেদ কুতুবী আলকাদেরী (৫৫) ও গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার হিটস্ট্রোকে নামে এক স্কুল শিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে। তিনি টুঙ্গিপাড়ার উত্তর বর্নী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাবিবা রিক্তা ।
রাজশাহীতে হিট স্ট্রোকে দিলীপ বিশ্বাস (৩৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি পবা উপজেলার দামকুড়া থানার কাদিপুর গ্রামের বাসিন্দা ।
নরসিংদীতে হিটস্ট্রোকে আদালত প্রাঙ্গণে সুলতান উদ্দিন মিয়া (৭২) নামে এক মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। তিনি নরসিংদী কোর্টে আইনজীবীর সহকারী ছিলেন। মাদারীপুরে দুইজন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে একজন খুচরা ব্যবসায়ী ও অপরজন কৃষক। ২৮ এপ্রিলের মৃত্যু ঘটনা নিয়ে এ পর্যন্ত দেশে হিটস্ট্রোকে ১২জন মারা গেলেন। এর আগে ২০ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা, চট্টগ্রাম, পাবনা ও গাজীপুরে হিটট্রোকে পাঁচজন মারা গেছে। হিট স্টোকে মৃত্যুর ঘটনা আশংকাজনক।
অতিরিক্ত গরমে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায় স্বাস্থ্যঝুঁকি। এ সময় ব্যক্তিগত সতর্কতা জরুরি। সরাসরি রোদে যত কম যাওয়া যায় সে চেষ্টা করতে হবে।
বাইরে বেশি ঘোরাঘুরি করলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। রোদে গেলে মাথায় চওড়া ক্যাপ, স্কার্ফ অথবা ছাতা দিতে হবে। পানিশূন্যতায় মানুষের হৃৎপিন্ড ও নাড়ির গতি বেড়ে যায়। এতে মাথা ঘোরা বা বমি বমি ভাব হতে পারে। কেউ কেউ অজ্ঞান হয়ে যান। এ অবস্থাকে বলা হয় হিট স্ট্রোক। এ অবস্থা যাতে না হয় সে জন্য সতর্কতা দরকার। হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত ছায়াময় জায়গায় নিয়ে চোখেমুখে পানি দিতে হবে। শরীরের কাপড় ঢিলে করে দিতে হবে। পাশাপাশি স্যালাইন ও স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি পান করাতে হবে।
গরমে খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনলেও কিছুটা স্বস্তির দেখা মিলতে পারে। বিশেষ করে ফলমূল ও পানির অভাব পূরণ করে এমন খাবার খেতে হবে। সাদা রঙের পোশাক সবচেয়ে ভালো। তাতে গরম অনেকটা কাটবে। গাঢ় রঙের পোশাকে গরম বেশি অনুভূত হয়। এ সময় সিনথেটিক কাপড়ের পোশাক এড়িয়ে চলতে হবে। সুতি ও লিনেনের ঢোলাঢালা পোশাক গরমে উপকারী।
স্বাআলো/এস