জেলা প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা: জেলায় ভোট পুণরায় গণনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ করেছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৪নং শংকরচন্দ্র ইউনিয়নে ২নং ওয়ার্ডের ফুটবল প্রতীকের মেম্বার প্রার্থী সোহানুর রহমান।
রবিবার (১০ মার্চ) চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব ভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্যে সোহানুর রহমান বলেন, ভোট সুষ্ঠু হলেও ভোট গণনায় আমাকে হারিয়ে দেয়া হয়েছে। আমার ধারণা শংকরচন্দ্র সরকারি বিদ্যালয়ে একটি মাত্র কেন্দ্রে ভোট গণনার সময় অন্য মেম্বার প্রার্থীর ভোটের বান্ডিলের মধ্যে ভুলক্রমে আমার ভোটের ব্যালট ঢুকে যেতে পারে।
তিনি বলেন, ভোট পুণরায় গণনা করলে আমি বিজয়ী হবো ইনশাল্লাহ।
তিনি আরো অভিযোগ করে বরেন, আমার পোলিং এজেন্ট ছিলো আমার ছোট ভাই তাজউদ্দিন আহম্মেদ। ভোট গণনা শেষে পোলিং এজেন্টদেরকে দূরে বসিয়ে রেখে প্রিজাইডিং অফিসার তড়িঘড়ি করে ভোট গণনা করে মৌখিক ফলাফল ঘোষণা করলে আমার ফুটবল প্রতীকের এজেন্ট বাইরে এসে আমাকে বিষয়টি জানালে আমি ভিতরে যাওয়ার চেষ্টা করি। প্রিজাইডিং অফিসারকে অবহিত করার জন্য। কিন্তু তিনি আমার কর্মীদের সাথে খারাপ আচরণ করেন এবং পুলিশদের দিয়ে আমিসহ আমাদের ভোটারদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেন। আমি সাথে সাথে আমার সমর্থকদের সাথে নিয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করি।
সংবাদ সম্মেলন শেষে গ্রামবাসীদের সাথে নিয়ে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী সোহানুর রহমান জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলন শেষে গ্রামবাসীদের সাথে নিয়ে তিনি চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সামনে ভোট পুণরায় গণনার দাবিতে মানববন্ধন করেন।
উল্লোখ্য, সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ডের সাধারণ মেম্বার পদে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে জাফরউল্লাহ শারাফত বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে ৩১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম মাহফুজুর রহমান মোরগ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩০৫ ভোট। এছাড়া এই ওয়ার্ডে নূর মোহাম্মদ টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১১৭ ভোট, আব্দুল্লাহ ভ্যান গাড়ি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৩৪ ভোট, ছামাদ আলী তালা প্রতীক নিয়ে ২২৯ ভোট পেয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যালট পুণরায় গণনার দাবিকারী সোহানুর রহমান ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৩৯ ভোট।
স্বাআলো/এস