যশোরে মধ্যরাতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ ও সামাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলন ও নাগরিক পার্টির নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার রাত ২টার পর আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ ও তাৎক্ষণিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
সমাবেশে বক্তারা জানান, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে ঘোষিত ‘যমুনা ঘেরাও’ কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানিয়ে যশোরে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
বক্তারা বলেন, আমরা একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, যেখানে দুর্নীতিমুক্ত ও গণতান্ত্রিক শাসন থাকবে। আওয়ামী লীগকে হটিয়ে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে এগিয়েছিলাম। কিন্তু আজ আবারো বিভিন্ন মহল আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এমনকি সরকারের উপদেষ্টা মণ্ডলীর মধ্যেও এই ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
যশোরে ৩৩ মামলার আসামি কাজী তারেক আটক
তারা আরো বলেন, ছাত্রজনতা কখনোই আওয়ামী লীগকে বাংলার মাটিতে রাজনীতি করতে দেবে না। আগে ছাত্রদের হত্যার বিচার এবং আওয়ামী লীগের যাবতীয় পাপের বিচার হতে হবে। এর আগে এ দেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতির কোনো স্থান নেই। গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই দলটির রাজনীতির অধিকার হারিয়েছে। আন্দোলন চলবে, রাজপথেই চলবে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের যশোরের সমন্বয়ক রাশেদ খান, এসসিপির জেলা সংগঠক নুরুজ্জামান, ছাত্রনেতা শোয়েব হুসাইন, সাজিদ সারোয়ার, রিজভী, বিএম আকাশ, মারুফ সুকর্ন, ইউনুস আলী, এসকে আসিফ সোহান, রিফাত, সাকিব, সোহেল, সাদমান বিন কবিরসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
স্বাআলো/এস
