যশোরের অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক আকার ধারণ করেছে। গত চারদিনে অভয়নগরেই নতুন করে আটজন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হওয়ায় জেলার আটটি উপজেলার মধ্যে এখানেই ডেঙ্গুর প্রকোপ সবচেয়ে ভয়াবহ বলে জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
সোমবার (৭ জুলাই) পর্যন্ত যশোর জেলায় মোট ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭০ জনে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার পর্যন্ত শনাক্ত ৭০ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে যশোর সদর হাসপাতালে বর্তমানে চারজন, অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচজন এবং অন্যান্য উপজেলায় আরো পাঁচজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। বাকি রোগীরা চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানিয়েছে, ডেঙ্গু রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা এবং পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে আলাদা বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে স্থানীয়দের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতার ঘাটতি ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়িয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে নওয়াপাড়া পৌর এলাকার অপরিষ্কার ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং টানা বৃষ্টির ফলে জমে থাকা পানি ডেঙ্গু মশার প্রজননের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতোমধ্যে নওয়াপাড়া পৌর প্রশাসকের পক্ষ থেকে গণসচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করার পাশাপাশি ঘরে ঘরে ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।
করোনার শঙ্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি, এর মধ্যেই ডেঙ্গুর এমন বাড়বাড়ন্ত জনমনে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করছে। উপজেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পক্ষ থেকে ড্রেনে জমে থাকা পানি দ্রুত অপসারণ, মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস এবং প্রয়োজন অনুযায়ী দ্রুততার সঙ্গে নিকটস্থ চিকিৎসা কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আলীমুর রাজীব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গত চারদিনে অভয়নগরেই নতুন করে আটজন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। বর্তমানে পাঁচজন চিকিৎসাধীন আছেন। আমরা তাদের চিকিৎসা প্রদান করছি। তবে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা উদ্বেগজনক।
স্বাআলো/এস