চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর শুক্রবার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৯ বছর। তিনি স্ত্রী ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদুল হক বিশ্বাস।
তিনি গণমাধ্যমকে জানান, সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন এবং ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হান্নান জানিয়েছেন, শনিবার (১৪ জুন) বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গার ফাস্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি প্রাঙ্গণে মরহুমের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জান্নাতুল মওলা কবরস্থানে তার মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ অগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার স্বপরিবারে আত্মগোপনে চলে গিয়েছিলেন। সে সময় তার বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছিলো। আত্মগোপনে যাওয়ার পর থেকে তিনি কোথায় ছিলেন, সে বিষয়ে কেউ নিশ্চিত তথ্য দিতে পারেননি।
সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪, ২০১৮ এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর তিনি জাতীয় সংসদের হুইপের দায়িত্বও পালন করেন।
স্বাআলো/এস
