বিনোদন ডেস্ক: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় থেকেই মঞ্চনাটকের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অভিনেতা ফারুক আহমেদ। মঞ্চে অভিনয় করলেও সেই সময়েই তিনি নাটক নির্দেশনাও দিয়েছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনার পরে ব্যস্ত হয়ে যান অভিনয়ে। নির্দেশনায় আর ফেরা হয়নি। অবশেষে ঢাকা থিয়েটারের নাটক দিয়ে নির্দেশনায় ফিরছেন এই অভিনেতা।
ফারুক আহমেদকে দেখা যাবে মঞ্চনাটক ‘রঙমহাল’ নির্দেশনা দিতে। এটি লিখেছেন রুবাইয়াৎ আহমেদ। বর্তমানে দলগতভাবে নাটকটির চিত্রনাট্য পড়ার কাজ চলছে। শিগগিরই নাটকটির অনুশীলন শুরু করতে চান। এই অভিনেতা বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা অভিনয়শিল্পী চূড়ান্ত করছি। অনুশীলন শুরু করব। আমাদের ইচ্ছা আছে আগস্টে নাটকটি মঞ্চে আনা। তবে তারিখ পেছাতে পারে। আর যেহেতু আমার প্রথম নির্দেশনা, তাই একটু সময় লাগতে পারে। দর্শকদের ভালো কিছু উপহার দিতেই সময় নিতে চাই।
ফারুক আহমেদ জানান, তিনি ছাত্রজীবন থেকেই নাটক নির্দেশনায় আগ্রহী হন। তিনিও চেয়েছিলেন নির্দেশনায় নিয়মিত হবেন। পরে অভিনয়ে ব্যস্ত হয়ে গেলে আর নির্দেশনায় ফেরা হয়নি। তিনি বলেন, নির্দেশনায় ফিরতে না পারায় ভেতরে কষ্টটা ছিলো। এ জন্য কয়েক বছর ধরে আমি ভালো চিত্রনাট্যের অপেক্ষায় ছিলাম। এবার ব্যাটে–বলে মিলে গেলো। কথা বলতে গিয়ে ফারুক আহমেদ ফিরে গেলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনগুলোতে। যেখানে প্রথম মঞ্চনাটক নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তহল নাট্য প্রতিযোগিতায় প্রথমও হয়েছিলেন।
তিনি আরো বলেন, আমি থাকতাম মীর মোশাররফ হলে। হলের নাট্য সম্পাদক ছিলাম। এদিকে বিভিন্ন হলের মধ্যে নাটক নির্দেশনার প্রতিযোগিতা হচ্ছে। আমার হল থেকে আমাকেই এই দায়িত্ব দেয়া হয়। নাটকটির নাম ছিলো “বর্ণচোরা”। আমার নির্দেশিত নাটকটি প্রথম হয়। পরে আরো কিছু নাটক নির্দেশনা দিয়েছি। কিন্তু ক্যাম্পাসের বাইরে এবার প্রথম।
‘রঙমহাল’ নামের এই নাটকের গল্পে কী আছে, সেটা এখনই বলতে চান না এই অভিনেতা ও নির্দেশক। শুধু বললেন, মানবিক জীবন বোধের গল্প এখানে তুলে ধরেছেন। মানুষ কি বুঝতে পারে তার জীবনের কোন সময়টা সবচেয়ে ভালো। অথচ সে সব সময় শুধু ভালোর পেছন ছোটে। এই ভালোর শেষ কোথায়। জীবনের দার্শনিক নানা ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে এই গল্পে।
সর্বশেষে ফারুক আহমেদ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আমাকে নির্দেশনার অনুমতি দিয়েছেন ঢাকা থিয়েটারের দলপ্রধান শ্রদ্ধেয় নাসির উদ্দীন ইউসুফ ভাই। আমাদের বাচ্চু ভাই। আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ। পাশাপাশি ঢাকা থিয়েটারের শিমুল ইউসুফ, রাইসুল ইসলাম আসাদ ভাই, সুবর্ণা মুস্তাফাসহ সব সদস্যের কাছে কৃতজ্ঞ। এটাও বলতে চাই, সবার সহযোগিতা পেলে আমি নির্দেশনায় নিয়মিত হতে চাই।
স্বাআলো/এস