সম্পদকীয়: ধর্ম-কর্মের নাম নেই মসজিদ কমিটির সদস্য হবার জন্য গ্রাম-গ্রামান্তরে লড়াই চলে। অনেক সময় মারামারি খুনোখুনিও হয়। এর পেছনে একমাত্র কারণ ধর্ম ভাঙিয়ে মানুষের চোখে কাদা দিয়ে ফায়দা লোটা। এমন একটি ঘটনা ঘটেছে মাগুরার মহম্মদপুরে। মহম্মদপুর উপজেলার মান্দার বাড়িয়া গ্রামের আশরাফিয়া জামে মসজিদের নির্মাণ কাজের সাত লাখের বেশি টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে তুলে আত্মসাৎ করেছে একটি চক্র। এ ঘটনায় মহম্মদপুর থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
যাদের মধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যজন জামিনে মুক্ত হয়েছে।
মামলার বাদী মসজিদ কমিটির সদস্য শরীফ ফরিদ অভিযোগ করেছেন, আকিজ কোম্পানি ৩০ লাখ টাকা অনুদান মঞ্জুর করে। ওই টাকার মধ্য হতে মসজিদ নির্মাণ কাজের জন্য সাত লাখ ৫০ হাজার টাকা মসজিদের নামে জনতা ব্যাংক মহম্মদপুর শাখায় রাখা হয়। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ওপ্রতিষ্ঠান থেকে মসজিদ নির্মাণ বাবদ অনুদান আসে।
এরই মধ্যে গ্রামের কয়েকজন বাদীর কাছে মসজিদের নামে আসা অনুদানের টাকার মধ্য হয়ে এক তৃতীয়াংশ টাকা চাঁদা দাবি করে। এছাড়া প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলে যে, টাকা না দিলে মসজিদ নির্মাণ কাজ বন্ধ করাসহ মসজিদ কমিটির সদস্যদের বিপদে ফেলবে। এক পর্যায়ে গত ১৬ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে বাদীসহ অন্য সদস্যরা ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে জানতে পারেন ওই হিসাব নম্বরে কোনো টাকা নেই।
মসজিদের তহবিল গড়ে তোলার জন্য পরকালে সুখ-শান্তির কথা বলাসহ নানা ফন্দি-ফিকিরের মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে টাকা পয়সা সংগ্রহ করা হয়।
মানুষ এতটাই সহজ সরল যে টাকা পয়সা দিয়ে সেই টাকা কোথায় গেল তার আর খোঁজ নেয় না। তারা বলে আল্লাহর নামে মসজিদে দিয়েছি, কেউ যদি ওই টাকা আত্মসাত করে সে আল্লাহর কাছে কৈফিয়ত দেবে। এই সরলতার সুযোগ নিয়ে কমিটির অনেকে মসজিদের টাকা নির্বিঘে হজম করে বসে। মহম্মদপুরের ঘটনাটি তারই প্রমাণ দেয়। ওই মসজিদ কমিটির কয়েকজন এত বড় ধুরন্ধর যে সাড়ে লাখ টাকা আত্মসাত করতে তাদের বুক কাঁপেনি।
পরিণতি কি হতে পারে তাও ভাবেনি। যারা টাকা আত্মসাত করেছে তারা যেন কোন রকমেই রেহাই না পায় সে পদক্ষেপ নিতে হবে।
স্বাআলো/এস