খুলনা বিভাগ

যশোরে তীব্র যানজট, চরম দুর্ভোগ

| September 5, 2024

রুহুল আমিন, যশোর: যশোর শহরে মাত্রাতিরিক্তভাবে যানজট বৃদ্ধি পেয়েছে। নূন্যতম ৩০ মিনিটের নিচে কোন সড়কে যানজট কমছে না। এতে সাধারণ মানুষের চরমভাবে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে সকাল ও সন্ধ্যায় দুর্ভোগের অন্ত নেই। শহরবাসী শান্তি ও স্বস্তিতে চলাফেরার জন্য যানজটমুক্ত নিরাপদ সড়কের দাবি করেছেন।

দেখা গেছে, যশোর শহরের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক নামে পরিচিত দড়াটানা থেকে চৌরাস্তা-মণিহার, দড়াটানা থেকে খাজুরা বাসস্ট্যান্ড, দড়াটানা থেকে চাঁচড়া চেকপোস্ট, চৌরাস্থা থেকে রেলরোড সড়ক ও দড়াটানা থেকে ধর্মতলা সড়ক। এছাড়াও সদর হাসপাতাল সড়ক, ঘোপ সেন্টাল রোড সড়ক, আশ্রম রোড সড়ক ও সরকারি এম এম কলেজের সামনে শাহ আব্দুল করিম সড়ক, বিমান অফিস মোড় থেকে আরবপুর মোড় সড়কেও সাধারণ মানুষের চলাচল বেশি। শহরের এসব সড়কে প্রতি মুহুর্তে শত শত মানুষ চলাচল করেন। সকাল থেকেই এসব সড়কে প্রতিনিয়ত উপচেপড়া ভিড় হচ্ছে। নূন্যতম ত্রিশ মিনিটের নিচে কোন সড়কে যানজট কমছে না। যার সাধারণ মানুষকে বেশ দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজনে শহরের মধ্যে প্রবেশ করতে বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। দ্রæতই যানজট নিরাসন করা সম্ভব না হলে শহরের মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরবে না।

যানজটে দুর্ভোগের শিকার হওয়া রিফাত আরেফিন জানান, তার বাড়ি শহরের মিশনপাড়ায়। পেশায় তিনি একজন সাধারণ ঠিকাদার। প্রতিদিন প্রচন্ড দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে তাকে। সকাল নয়টার সময় তিনি অফিসিয়াল কাজে বের হন। কিন্তু ১০টার পরে ছাড়া কোনো অফিসে পৌছাতে পারেন না। আবার বিকালেও বাসায় ফেরার সময়ও তাকে একই ধরণের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। যার মূল কারণ হলো রাস্তায় প্রচণ্ড যানজট। যানজটের নিরাসন না হলে শহরবাসীর শান্তি ও স্বস্তি ফিরে আসবে না। দ্রুতই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।

শওকত আহম্মেদ পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক। তিনি জানান, কর্মস্থলে পৌছানোর জন্য খুব সকালেই বাড়ি থেকে বের হন। শহরের মধ্যে প্রবেশ করলে সহজে বের হতে পারেন না। ঘণ্টা খানেকের কাছাকাছি তার সময় নষ্ট হয়ে যায়। সেই কারণে নির্ধারিত সময়ে তিনি কর্মস্থলে পৌছাতে পারছেন। তার জন্য বেশ বিড়ম্বনার। তার মত অনেকে নির্ধারিত সময়ে কর্মস্থলে যেতে পারেন না। যানজট নিরাসন হলে তিনি স্বস্তির সাথে চলাফেরা করতে পারবেন।

যশোর ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান বলেন, আগের স্টাইলেই শহরে ট্রাফিক পুলিশ কাজ করছে। দায়িত্বে কোন ধরণের গাফিলতি নেই। বাটারি চালিত অবৈধ রিক্সা ও নিবন্ধনবিহীন ইজিবাইকের জন্য যানজট বেড়ে গেছে সেইজন্য আগের চেয়ে বেশি জনবল দিয়েও যানজট নিরাসন করা সম্ভব হচ্ছে না। অবৈধ ওইসব যানের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিলে অনেকংশে প্রতিকার করা সম্ভব হবে।

স্বাআলো/এস

Shadhin Alo