বেনাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য রফতানিতে নতুন শর্ত জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বন্দর দিয়ে ৪০ হাজার ডলারের বেশি মূল্যের পণ্যের চালান বা ২০ হাজার পিসের বেশি তৈরি পোশাকের চালান (যেমন শার্ট, প্যান্ট, টি-শার্ট, আন্ডারগার্মেন্টস ইত্যাদি) রফতানির ক্ষেত্রে কায়িক পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক।
কায়িক পরীক্ষা বলতে বোঝানো হয়, চালান খুলে পণ্য দেখে নিশ্চিত করা, ঘোষণাকৃত পণ্যের সঙ্গে চালানে থাকা পণ্যের মিল আছে কিনা।
সোমবার বেনাপোল কাস্টম হাউস এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, এ সিদ্ধান্ত রফতানিকারকদের জন্য বাড়তি জটিলতা তৈরি করতে পারে।
প্রসঙ্গত, বেনাপোল বন্দর মূলত ভারতে পণ্য রফতানির জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে ভারত হয়ে তৃতীয় দেশে পণ্য পাঠানোর কাজেও অনেকে এই বন্দর ব্যবহার করেন।
বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আরো ১২ ধরনের আমদানি পণ্যকে শুল্ক ঝুঁকিপূর্ণ ও সংবেদনশীল হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে: প্রসাধনসামগ্রী, সব ধরনের কাপড়, ইমিটেশন জুয়েলারি, ব্যাটারি, নতুন ও পুরোনো মোটর পার্টস, টায়ার ও বাইসাইকেল যন্ত্রাংশ, ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্য, রেয়াতি সুবিধায় আমদানি করা যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ, শিল্প খাতের যন্ত্রাংশ, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও অস্ত্রোপচারের সামগ্রী, একই চালানে থাকা বিভিন্ন ধরনের মিশ্র পণ্য ।
এই তালিকার পণ্যের চালানেও কায়িক পরীক্ষা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার কামরুজ্জামান কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন, এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেম পর্যালোচনা করে ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও এইচএস কোড চিহ্নিত করে নিয়মিত যাচাই করতে। পাশাপাশি শুল্ক-কর ফাঁকি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এই নতুন নির্দেশনা পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
স্বাআলো/এস