জেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম: জেলায় প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ৩ প্রার্থীকে বহিষ্কার ও ১১ জন প্রার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নবেজ উদ্দীন সরকার।
তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম ধাপে শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের সকল জেলাগুলোতে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়। ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে এবং চুক্তিভিত্তিক পরীক্ষাকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ (হল কন্ট্রাক্ট) নিয়ে অসদুপায় অবলম্বনের আশঙ্কা করেন অনেক চাকরিপ্রত্যাশী। তবে জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ অত্যন্ত সতর্কতার সাথে স্বচ্ছভাবে এ পরীক্ষা নেয়ার আয়োজন করে।
কিন্তু জেলার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে শুক্রবার অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ৩ প্রার্থীকে বহিষ্কার ও আরো ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষায় জেলার ৯ উপজেলায় সহকারী শিক্ষক পদে প্রায় ৪০০টির বেশি শূন্য পদের বিপরীতে ২৬ হাজার ৮০৫ জন চাকরিপ্রত্যাশী আবেদন করেন। কুড়িগ্রামে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে মোট ৪৫টি কেন্দ্রে ওই নিয়োগ পরীক্ষার এমসিকিউ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত পরীক্ষা চলাকালে ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে তা সমাধানের চেষ্টা ও পরীক্ষাগৃহে অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে কিংবা আপত্তিকর ডিভাইস ব্যবহারের অভিযোগে ৩ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজে ৪ জন, সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে ১ জন, রাজারহাট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ১ জন, পুলিশ লাইন্স স্কুলে ২ জন, নাগেশ্বরী মহিলা কলেজে ১ জন। এছাড়াও বহিষ্কার করা হয়েছে রাজারহাট মীর ইসমাইল হোসেন কলেজে ১ জন, নাগেশ্বরী মহিলা কলেজে ১ জন ও পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে ১ জনসহ ৩ জন।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ সাঈদুল আরীফ জানান, এতো স্বচ্ছতার সাথে পরীক্ষা নেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও ১৪ জন পরীক্ষার্থী অসদুপায় অবলম্বন করেছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এসব অপরাধীদের বহিষ্কার ও গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
স্বাআলো/এসএ