জেলা প্রতিনিধি,পটুয়াখালী: এক সময় বিচ্ছিন্নভাবে কিছু জমিতে চাষ হলেও এখন পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন বিস্তীর্ন ফসলের মাঠ জুড়ে হলদে নয়নাভিরাম সূর্যমুখীর হাসি।
অনুকুল আবহাওয়া, লবন সহিষ্ণুজাত, সময়মত বপন ও ভাল বাজারমূল্য পাওয়ায় কৃষকদের আগ্রহ প্রতিবছর বাড়ছে আবাদি জমি। কৃষকের নিরন্তর শ্রম ও পরিচর্যায় ফলনও হচ্ছে বেশ ভাল।
পল্লী প্রগতি সমিতি পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলায় চারটি উনিয়নে অরএমটিপি প্রকল্পেরঅধীনে “সূর্যমুখী এবং নিরাপদ সবজি উৎপাদনের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের আয়বৃদ্ধি শীর্ষক ভ্যালু চেইন উপ-প্রকল্প চলমান রয়েছে। পিকে এসএফএন সহযোহিতায় এবং অঅইএফএডি ও ড্যানিডা এর অর্থায়নে পল্লী প্রগতি সমিতি পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়নে এই প্রকল্পের আওত্তায় চলতি অর্থ বছরে ১০০জন কৃষককে মিশ্রচাষ পদ্ধতিতে সূর্যমুখী চাষের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কৃষকদের মিশ্র চাষ পদ্ধতিতে সূর্যমুখী র প্রদর্শনী উপকরণ
হিসেবে হাইসান –৩৩বীজের পাশাপাশি ভার্মি-কম্পোষ্ট,লালশাক,পালংশাক,এবং ধনিয়ার বীজ প্রদান করা হয়েছে।
পটুয়াখালী সদর উপজেলায় পল্লী প্রগ্রতি সমিতির চলতি বছরে উপ-প্রকল্পের আওত্তায় ১১০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করা হয়েছে। সূর্যমুখী বীজ হতে গাদ বিহীন তেল উৎপাদন করার লক্ষ্যে উপ-প্রকল্পের আওত্তায় দুইজন উদ্যোক্তাকে আধুনিক কোল্ড প্রেস মেশিন প্রদান করা হয়েছে যাতে সূর্যমুখী তেল সহজেই বাজারজাত করা যায় এবং ভোক্তারা যেন নিরাপদ ভোজ্য তেল খেতে পারে।
পটুয়াখারী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এবছর সদর উপজেলায় ১১০ হেক্টর জমিতে এবং জেলা প্রাং ২১০০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করা হয়েছে । আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ৩১৫০ তেল উৎপাদিত হবে। যার বাজার মূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা।
স্বাআলো/এস