কুড়িগ্রামের রৌমারী ও চিলমারী নৌ-বন্দরের রমনাঘাট থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে ফেরি ‘বেগম সুফিয়া কামাল’। ফেরি ‘কুঞ্জলতা’ও চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, চিলমারী নৌ-বন্দরের প্রধান পাইলট মাহবুবুর রহমান।
ফলে, এই নৌরুটে পারাপারের অপেক্ষায় সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে পণ্যবাহী পরিবহন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন চালকসহ যাত্রীরা। ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতার ফলে ফেরি বেগম সুফিয়া কামাল চলাচলে বিঘ্ন হওয়ায় বন্দর থেকে সরিয়ে নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
তবে বেগম সুফিয়া কামালের পরিবর্তে কদম নামের একটি ছোট ফেরি যুক্ত হচ্ছে বলে জানান তারা। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের রমনা ঘাট নৌবন্দর কুঞ্জলতা ও বেগম সুফিয়া কামাল নামে দুইটি ফেরির চলাচল শুরু হয়। কুঞ্জলতা চলাচল করলেও নাব্যতার কারণে বেগম সুফিয়া কামাল আসার ৯ দিনের মধ্যে সেটিরও চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের সঙ্গে সারাদেশের নৌরুটে যোগাযোগ বাড়ানো ও চিলমারী নৌ-বন্দরের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে ফিরেয়ে আনতে গত ২০ সেপ্টেম্বর ফেরি চালু এবং বন্দরের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতা সংকটের কারণ দেখিয়ে রমনা ঘাট থেকে সরিয়ে নেয়া হয় ফেরি ‘বেগম সুফিয়া কামাল’। এছাড়া চলাচল বন্ধ করা হয়েছে ‘কুঞ্জলতা’ নামে ফেরিটিও। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে পণ্যবাহী গাড়ির চালকসহ যাত্রীরা।
বিআইডব্লিউটিসির বাণিজ্য ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, নাব্যতা সংকট ও রৌমারী ফেরিঘাট দেবে যাওয়ার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে নদের ড্রেজিংয়ের কাজ চলছে। আগামীকাল না হলে পরশু দিন ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে।
বিআইডব্লিউটিসির চিলমারী নৌবন্দরের প্রধান পাইলট মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বেগম সুফিয়া কামাল’ নামের ফেরিটি বড় হওয়ায় চলাচল করতে অসুবিধা হচ্ছিলো। এ কারণে ফেরিটি আরিচা ঘাটে পাঠানো হয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের খনন কাজ অব্যাহত রয়েছে। তবে ফেরি বেগম সুফিয়া কামালের পরিবর্তে ‘কদম’ নামের আরেকটি ছোট ফেরি আরিচা ঘাট থেকে রওনা দিয়েছে। এদিকে রৌমারী ঘাটের পল্টুন দেবে যাওয়ায় আপাতত ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
স্বাআলো/এসএস