ঢাকা অফিস: এপ্রিল জুড়ে রেকর্ড তাপপ্রবাহের পর দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে ঝড় ও বৃষ্টিপাত। মে মাসে এসে কালবৈশাখীর তাণ্ডবও দেখা যাচ্ছে কোথাও কোথাও। আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতি বজায় থাকবে আরো পাঁচদিন। টানা বৃষ্টিতে তাপমাত্রাও অনেকটা সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে এ সময়ে। তবে এরপরই আবার তাপদাহের সম্ভাবনা দেখছে দেশের আবহাওয়া বিভাগ।
বুধবার (৮ মে) আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।
পূর্বাভাস অনুসারে, দিনের তাপমাত্রা সারাদেশে আজ কমই থাকবে এবং রাতের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। দিনের তাপমাত্রা কমবে আগামীকালও। দিন ও রাতের তাপমাত্রা উভয়ই কমার সম্ভাবনা আছে পরদিন শুক্রবার।
টানা তাপপ্রবাহের পর যশোরে স্বস্তির বৃষ্টি
আগামী তিনদিন সারাদেশেই বৃষ্টির পাশাপাশি কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, আবহাওয়া যেহেতু ঠাণ্ডা হয়ে গেছে, শিলার পরিমাণ কমে আসবে। যেসব জায়গায় মেঘের উচ্চতা বেশি হবে, সে রকম দুই-এক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।’
তিনি বলেন, আমাদের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে কিছুটা বেশি ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অতি তীব্র তাপদাহ বয়ে যাওয়ায় যেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৪২ ডিগ্রির উপরে, সেখানেও গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে।
বৃষ্টি আরো কতদিন থাকবে, এমন প্রশ্নের জবাবে এ আবহাওয়াবিদ বলেন, বৃষ্টি আরো অন্তত পাঁচদিন থাকতে পারে বলে মনে হচ্ছে। এ সময়ে দেশের প্রায় সব জায়গাতেই ২৪ ঘণ্টায় অন্তত একবার বৃষ্টি হতে পারে।
বৃষ্টির এ প্রবণতা কমে এলেই আবারও তাপদাহ আসতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বজলুর রশিদ বলেন, এ মাসে আবারো তাপদাহ আসার আশঙ্কা আছে। মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষে বা তৃতীয় সপ্তাহের শুরুতে আসতে পারে এ তাপদাহ।
এদিকে বুধবার (৮ মে) সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া সকাল ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে রাজধানী ঢাকায়। এ সময় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে মাইজদীকোর্টে; ১৫ মিলিমিটার। একই সময়ে রাঙ্গামাটিতে ১০, পটুয়াখালী ও ভোলায় ৯, বরিশালে ৮, খেপুপাড়ায় ৭ ও সন্দ্বীপে ৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
স্বাআলো/এস