অবরোধে একটি বাসে আগুন দেয়ার জন্য তিন হাজার টাকা করে কর্মীদের দেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনার অন্যতম নির্দেশদাতা ছাত্রদল নেতা আমির হোসেন রকি ও তার সহযোগী সাকিবকে গ্রেফতারের পর তারা পুলিশের কাছে জবানবন্দী দিয়েছে যে বিএনপি নেতাদের নির্দেশে যানবাহনে অগ্নিসংযোগের বিষয়টি সমন্বয় করে আসছিলেন রকি।
এমনটাই দাবি করছে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)।
বাংলামোটরে চলন্ত যাত্রীবাহী বাসে আগুন
সোমবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার আসাদুজ্জামান বলেন, রাজনৈতিক সহিংসতার অংশ হিসেবে ১ নভেম্বর সকালে মুগদা বিশ্বরোডের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এলাকায় মিডলাইন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এরপর পালানোর সময় জনগণের সহযোগিতায় পুলিশ আল-আমিন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।
সিটিটিসি প্রধান আরো বলেন, এ ঘটনায় বাসের মালিক মুহাম্মদ দুলাল হোসেন বাদী হয়ে মুগদা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন। ঘটনার পরপরই সিটিটিসির ইন্টেলিজেন্স টিম ঘটনায় জড়িত ও আর্থিক সহায়তাকারীদের গ্রেফতারে কাজ শুরু করে।
অবরোধ শুরুর আগেই ৩ যাত্রীবাহী বাসে আগুন
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিএনপির সক্রিয় কর্মী মিজানুর রহমান জানান, অবরোধের প্রথমদিন সূত্রাপুর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আমির হোসেন রকি তাকে ফোনে বাসে আগুন দেয়ার নির্দেশ দেন। রকি তাকে বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের শীর্ষ নেতারা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ও তাদের নির্দেশেই কাজ হচ্ছে। তিনি আরো জানান, যদি মিজান আগুন দিতে পারেন, তবে বিএনপি আর কয়েকদিন পর ক্ষমতায় এসে তাকে এমন টাকা-পয়সার ব্যবস্থা করবে যে, কোনো অভাব থাকবে না।
জিজ্ঞাসাবাদে রকি আরো জানান, ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত বিএনপির ডাকা প্রথম ধাপের অবরোধের চেয়ে ৫-৬ নভেম্বরের দ্বিতীয় ধাপের অবরোধে যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিএনপি নেতাদের কাছ থেকে দ্বিগুণ টাকা দেয়ার ঘোষণা এসেছে।
স্বাআলো/এস