জেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম: ভারী বৃষ্টিপাত আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামে দুধকুমার, ধরলা, ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বাড়া অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার (১৯ জুন) তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ও দুধকুমার নদীর পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমা পাঁচ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে এসব নদীর তীরবর্তী নিচু অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
চরাঞ্চলে পানি ওঠার ফলে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে এসব চরাঞ্চলের বাসিন্দারা। পানিতে তলিয়ে গেছে এসব চরের শাক-সবজি ও পাটের আবাদ। দুধকুমার নদীর অববাহিকার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ছিটপাইকের ছড়া ও পাইক ডাঙ্গা, চরবলদিয়া, চর শতিপুরি, নাগেশ্বরী উপজেলার ফান্দের চরসহ বেশকিছু চরাঞ্চল তলিয়ে গেছে। এখানকার প্রায় তিন শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার পাট, শাকসবজির আবাদ পানিতে তলিয়ে গেছে।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম হ্যাপি জানান, গত তিনদিন থেকে ইউনিয়নটির পাইকডাঙ্গা ও ছিট পাইকের ছড়া গ্রামের শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছে।
নাগেশ্বরী উপজেলার বল্লভের খাষ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক জানান, তার ইউনিয়নের ফান্দের চর একলায় পানি উঠেছে। এখানে প্রায় ১শ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে নিম্নাঞ্চলে স্বল্প মেয়াদি বন্যা সৃষ্টি হতে পারে।
স্বাআলো/এস/বি