গাজায় খাদ্য সংকটে ৩২৬ জনের মৃত্যু, ঝুঁকিতে ১৪ হাজার শিশু

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলা এবং ত্রাণ প্রবেশে কঠোর বাধা দেয়ার ফলে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এতে অপুষ্টি ও ওষুধের অভাবে অন্তত ৩০০ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। একইসঙ্গে প্রায় ১৪ হাজার শিশু মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। বুধবার (২১ মে) আলজাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ২ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত অপুষ্টি ও ওষুধের অভাবে অন্তত ৩২৬ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার) গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অব্যাহত হামলায় আরো অন্তত ৮৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এর আগে, মঙ্গলবার (২০ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রধান টম ফ্লেচারের উদ্বেগের কথা তুলে ধরা হয়। বিবিসি রেডিও ৪-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি গাজায় ত্রাণ প্রবেশের পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
টম ফ্লেচার বলেন, ইসরাইল যে পরিমাণ ত্রাণ ঢুকতে দিচ্ছে, তা অত্যন্ত অপ্রতুল এবং গাজায় চলমান দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় মোটেই যথেষ্ট নয়।
তিনি আরো জানান, আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি গাজার ১১ সপ্তাহব্যাপী ত্রাণ অবরোধ আংশিকভাবে শিথিলের ঘোষণা দিলেও তা ছিল কেবলমাত্র ন্যূনতম মাত্রায়।
সোমবার (১৯ মে) গাজায় মাত্র পাঁচটি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি ছিল সমুদ্রের একফোঁটা মাত্র। এসব ট্রাকে শিশু খাদ্য ও পুষ্টিকর সামগ্রী থাকলেও সেগুলো এখনও সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছেনি, বরং সীমান্ত পেরিয়ে গাজায় ঢুকলেও সেগুলো এখনও সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থান করছে।
ফ্লেচার শিশুদের করুণ পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, আমি চাই, পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় এই ১৪,০০০ শিশুর যতটা সম্ভবকে বাঁচাতে পারি। এই সংখ্যাটি কীভাবে নির্ধারিত হয়েছে—এমন প্রশ্নে তিনি জানান, আমাদের শক্তিশালী মাঠ পর্যায়ের দল রয়েছে, যদিও তাদের অনেকেই নিহত হয়েছেন। তবুও আমরা এখনো অনেককে মাঠে রেখেছি। তারা হাসপাতাল, স্কুলসহ বিভিন্ন স্থানে থেকে প্রয়োজন নির্ধারণে কাজ করছে।
স্বাআলো/এস