সাতক্ষীরায় গণতন্ত্র ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে শহীদ হওয়া তরুণদের স্মরণে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) শহরের কাটিয়া এলাকায় পুরাতন ডাকবাংলো প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানে এই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহম্মেদ আনুষ্ঠানিকভাবে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কার্যক্রমের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ সময় তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনে রাজপথে জীবন দেয়া শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হচ্ছে। এটি দেশের ৬৪টি জেলাতেই নির্মিত হবে। আশা করছি, আগামী ৫ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো সম্ভব হবে।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল হাসেম, জেলা সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল সালাম, জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা শাখার আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন, সদস্য সচিব সাদি, মুখপাত্র মোহিনিসহ জুলাই আন্দোলনে আহত এবং শহীদ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য এই স্মৃতিস্তম্ভটির উচ্চতা হবে ১৮ ফুট ও প্রস্থ ৬ ফুট। এতে ২০২৪ সালের জুলাই মাসের ঐতিহাসিক আন্দোলনের সময় রাজপথে উচ্চারিত প্রেরণাদায়ী শ্লোগানসমূহ খোদাই করে রাখা হবে, যা প্রতিবাদ, সাহস এবং জনগণের প্রতিরোধের শক্তির স্মারক হিসেবে কাজ করবে। স্মৃতিস্তম্ভটি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যৌথ অর্থায়নে নির্মাণ করা হচ্ছে।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে সারাদেশে যে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছিল, তা গণতান্ত্রিক সংস্কার, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এবং সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে তরুণদের বিপুল অংশগ্রহণের এক ঐতিহাসিক নিদর্শন হয়ে উঠেছে। সেই স্মৃতিকে অম্লান রাখতেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
স্বাআলো/এস
