নড়াইলের সব আশ্রয়হীন মানুষ ছিন্নমূলের গ্লানিমুক্ত

সম্পাদকীয়: মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের ৫য় পর্যায়ের নির্মিত গৃহ ও জমি প্রদানের মাধ্যমে নড়াইল জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত করা হয়েছে।

এই কার্যক্রমের আওতায় জেলায় যাচাই-বাছাই করে এক হাজার ১৬৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বাছাই করা হয়। এই পর্যন্ত এই কার্যক্রমের আওতায় নড়াইল সদর উপজেলায় ১৭১ জন, লোহাগড়া উপজেলায় ১২০ জন এবং কালিয়া উপজেলায় ৬২৩ জনকে উপকার ভোগীর মাঝে গৃহ ও জমির কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের প্রেস ব্রিফিং সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রধানমন্ত্রী গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করেছেন। এ পর্যন্ত প্রায় ২৪ হাজার ৫২০ জন গৃহহীন ও ভূমিহীনকে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পঞ্চম পর্যায়ের অবশিষ্ট অংশ আরো ২০ হাজার ভূমিহীনকে ঘর বরাদ্দ দেয়া হবে।

নড়াইলকে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত জেলা ঘোষণা উপলক্ষ্যে প্রেস ব্রিফিং

দেশের ২৪ হাজার ৫২০টি ঠিকানাহীন মানুষের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, যা ছিলো তাদের কল্পনার বাইরে। তারা নিজস্ব জমিতে আধা পাকা ঘরে ওঠেছে পরিবার পরিজন নিয়ে। আরো ২০ হাজার গৃহহীন পরিবার ঘর পেতে যাচ্ছে। আর এমন ব্যবস্থাটি করে দিয়েছেন মানব দরদী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।

‘আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ এ স্লোগানকে সামনে নিয়ে গৃহহীনদের এ ঘর দেয়া হচ্ছে।

মানুষের সেবার ব্রত নিয়ে কাজ করলে সমাজ দ্রুত এগিয়ে যায়। সম্পদ অর্থ সুযোগ সুবিধা পরিবেশ সবই আছে। শুধু চোখ কান খোলা রেখে কাজ করলেই হয়। কিন্তু কেউ এ কথাটা বুঝতে চান না যে, যিনি জনগণের সেবার দায়িত্ব নিতে ভোট প্রার্থনা করে নির্বাচিত হন তিনি আর মানুষর কাছে যান না, মনে রাখেন না মানুষের কথা। আর অতি সাধারণ মানষের কথা মনে রাখার তো প্রশ্নই আসে না। দেশ পরিচালকের আসনটি কিন্তু নিজের আভিজাত্য ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য জন্য নয়। ওই আসনের সামনের মানুষগুলো তার মান। তারা আশরাফ- আতরাফ, নিরন্ন-বুভুক্ষ যাই হোক তাদের সম্মান দিতে হবে। মানব সেবার মাধ্যমে যে আভিজাত্য প্রতিষ্ঠিত হয় সেটিই প্রকৃত আভিজাত্য। প্রধানমন্ত্রী এ কথাটি বাস্তবভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। তার মহানুভবতায় দেশের আশ্যয়হীন পরিবারগুলো দুই শতক জমিতে পাচ্ছেন মাথা গোজার ঠাঁই। ঠিকানাহীন মানুষকে নিলেন কোলে টেনে, ব্যবস্থা করলেন তাদের আবাসনের। এ এক অনন্য মহানুভবতা। সুবিধাভোগীরা এখন ছিন্নমূলের গ্লানিমুক্ত হয়ে পাবে সামাজিক মর্যাদা।

প্রধানমন্ত্রী এমনিভাবে দেশের অতি সাধারণ স্তরের মানুষের সাথে স্বজনের মতো ব্যবহার করেন। প্রজাতন্ত্রের মানুষের জন্য একজন প্রধানমন্ত্রীর যা করা উচিত জননেত্রী শেখ হাসিনা তাই করছেন। তার মহানুভবতায় দেশের অনেক অসহায় মানুষ পেয়েছে চিকিৎসা, শিক্ষা ও অন্যান্য সুবিধা।

স্বাআলো/এস

Share post:

Subscribe

spot_imgspot_img

Popular

More like this
Related

বিএসপির সাহিত্য সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদ্রোহী সাহিত্য পরিষদ (বিএসপি) যশোর এর ২৪৫...

ফের পরীর সঙ্গে সম্পর্কের গুঞ্জন রাজের

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি ও নায়ক শরিফুল রাজের...

বেনাপোল কাস্টমসের অভিযানে অবৈধ পণ্যর ট্রাক আটক

মিলন হোসেন, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি: বেনাপোল বন্দরের ৩৫ নম্বর...

কুয়াশায় নিরাপদে গাড়ি চালাতে ৪ নির্দেশনা

ঘন কুয়াশার কারণে বাড়ছে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি। এ অবস্থায়...