যশোরের শার্শা সীমান্ত থেকে ৭২ কেজি সোনা উদ্ধারের মামলায় তিনজনের মৃত্যুদÐ, দুই ভারতীয় নাগরিকের যাবজ্জীবন ও অপর চার আসামির ২০ বছর করে সশ্রম কারাদÐ আদেশ দিয়েছেন আদালত। ১৬ নভেম্বর যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।
মৃত্যুদÐ প্রাপ্তরা হলো, মহিউদ্দিন তরফদার শান্তি, জাহিদুল ইসলাম ও মুজিবুর রহমান। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলো, ভারতীয় নাগরিক মাসুদ রানা ও শফিকুল মÐল। ২০ বছরের সাজাপ্রাপ্তরা হলো, সাফি, ইমরান হোসেন, কবির হোসেন ও রুবেল হোসেন।
সোনা চোরাচালনের ¯্রােত দেখলে মনে হয় এ ব্যবসাটা যেন পাচারকারীদের কাছে বৈধ ব্যবসা। প্রতিদিনকার সংবাদপত্র হাতে করলেই চোখ পড়ছে সোনা চোরাচালানের খবর। তাও আবার দু’হাজার টাকার নয়। কোটি কোটি টাকার।
সোনা পাচারের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কড়াকড়ি ব্যব¯’া নিলেও তা থেমে নেই। এক শ্রেণির মানুষ এ অবৈধ কাজটি করেই যা”েছ। তাদের আচরণ দেখলে মনে হয় তারা তারা যেন বৈধ ব্যবসা করছে। আর তাই সব কঠোরতাকে তারা ড্যামকেয়ার ভাব দেখা”েছ।
সোনা চোরাচালানে মূল হোতারা থাকে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তারা টাকার বিনিময়ে লোক দিয়ে পাচার করেন। যাদেরকে আমরা সমাজপতি হিসেবে মান্য করি। তারা মঞ্চ দখল করে নীতি কথা আওড়ায়।
চোরাচালান থেমে নেই এ জন্য বলছি যে, প্রায় শোনা যায় পাচার করার জন্য আনা সোনা ধরা পড়েছে। যারা এর সাথে জড়িত তারা এতটাই অপ্রতিরোধ্য যে বার বার ধরা পড়লেও তারা থেমে নেই। যারা দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে, মানুষের অকল্যাণে চোরাচালান ব্যবসা করেও সমাজের মধ্যমণি হয়ে হয়ে বসে আছে তাদের কালো হাত আগে ভাঙতে হবে। চোরাচালানীরাতো হিতাহিত জ্ঞান শূন্য মানুষ নামের অদ্ভুত প্রাণি। তারা চোরাচালান করতে গিয়ে ধরা পড়লে তাদের জীবন শেষ এ কথাটি তাদের মাথায় থাকে না। এ ক্ষেত্রে আমাদের কথা হলো চোরাচালানের শীর্ষের শক্তিকে আগে প্রতিহত করা হোক।