অনলাইন নিউজ পোর্টাল স্বাধীন আলোর খবরে প্রকাশ, যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল থেকে ১৮ পিস সোনার বারসহ আক্তারুল (২০) এক যুবককে আটক করেছে বিজিবি। যার বাজার মূল্য এক কোটি ৮৮ লাখ ৩৪ হাজার ৬৮৬ টাকা।
২১ নভেম্বর পুটখালী সীমান্তের মসজিদ বাড়ি বিজিবি পোস্ট থেকে সোনার বারসহ তাকে আটক করা হয়।
আক্তারুল বেনাপোল পোর্ট থানার খলশী গ্রামের বাসিন্দা।
বেনাপোলে এক কোটি ৮৮ লাখ টাকার সোনার বারসহ যুবক আটক
সোনা পাচারকারীরা এতোটাই বেপরোয়া যে, মৃত্যুভয়কেও তারা উপেক্ষা করে এ কাজ করে যাচ্ছে। কোনো ক্রমেই থামছে না তাদের তৎপরতা। মাত্র পাঁচদিন আগে একই অপরাধে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও তাদের হৃদয় কাঁপেনি। সোনা চোরাচালানের স্রোত দেখলে মনে হয় এ ব্যবসাটা যেনো পাচারকারীদের কাছে বৈধ ব্যবসা। প্রতিদিনকার সংবাদপত্র হাতে করলেই চোখ পড়ছে সোনা চোরাচালানের খবর। তাও আবার দুই-এক হাজার টাকার নয়। কোটি কোটি টাকার। সোনা পাচারের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কড়াকড়ি ব্যবস্থা নিলেও তা থেমে নেই। এক শ্রেণির মানুষ এ অবৈধ কাজটি করেই যাচ্ছে। তাদের আচরণ দেখলে মনে হয় তারা তারা যেনো বৈধ ব্যবসা করছে। আর তাই সব কঠোরতাকে তারা ড্যামকেয়ার ভাব দেখাচ্ছে। সোনা চোরাচালানে মূলহোতারা থাকে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তারা টাকার বিনিময়ে লোক দিয়ে পাচার করেন। যাদেরকে আমরা সমাজপতি হিসেবে মাণ্য করি। তারা মঞ্চ দখল করে নীতি কথা আওড়ায়।
চোরাচালান থেমে নেই এ জন্য বলছি যে, প্রায় শোনা যায় পাচার করার জন্য আনা সোনা ধরা পড়েছে। যারা এর সাথে জড়িত তারা এতোটাই অপ্রতিরোধ্য যে বার বার ধরা পড়লেও তারা থেমে নেই। যারা দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে, মানুষের অকল্যাণে চোরাচালান ব্যবসা করেও সমাজের মধ্যমণি হয়ে হয়ে বসে আছে তাদের কালো হাত আগে ভাঙতে হবে। চোরাচালানীরাতো হিতাহিত জ্ঞান শূন্য মানুষ নামের অদ্ভুত প্রাণি। তারা চোরাচালান করতে গিয়ে ধরা পড়লে তাদের জীবন শেষ এ কথাটি তাদের মাথায় থাকে না। এ ক্ষেত্রে আমাদের কথা হলো
চোরাচালানের শীর্ষের শক্তিকে আগে প্রতিহত করা হোক।
স্বাআলো/এস