বিনামূল্যে সরকারি চাল বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ঝলই শালশিরী ইউনিয়ন পরিষদের ১১ জন সদস্যকে আটক করা হয়েছে। সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগে স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে সোমবার রাতে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা তাদের আটক করে।
অভিযোগ পাওয়ার পর সোমবার (২৬ মে) রাতে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বোদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাস্থলে যান। পরিষদ চত্বরে বিক্ষুব্ধ জনতা ইউপি সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রেখেছিলো। চাল বিতরণে অনিয়ম ও আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে ১১ ইউপি সদস্যকে আটক করা হয়। পরে তাদের বোদা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বোদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিমউদ্দীন জানান, সেনাবাহিনী ১১ জন ইউপি সদস্যকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
আটককৃত ইউপি সদস্যরা হলেন- ঝলই শালশিরী ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের খলিলুর রহমান, ২নং ওয়ার্ডের হামিজ উদ্দিন, ৩নং ওয়ার্ডের প্রিয়নাথ রায়, ৫নং ওয়ার্ডের শুনিল চন্দ্র রায়, ৬নং ওয়ার্ডের দাহির উদ্দিন, ৭নং ওয়ার্ডের খাদেমুল ইসলাম, ৮নং ওয়ার্ডের মামুন ইসলাম এবং ৯নং ওয়ার্ডের আশরাফুল ইসলাম। এছাড়াও সংরক্ষিত নারী আসনের মহিলা সদস্য শেফালী রাণী, বিলকিস বেগম ও রুপালী বেগম আটক হয়েছেন।
বিএসএফের হাতে আটক ২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত আনলো বিজিবি
জানা গেছে, ভিডব্লিউবি (Vulnerable Group Benefit) কার্ডের আওতায় সোমবার ঐ ইউনিয়নে ২৫৮টি পরিবারকে মাথাপিছু মাসে ৩০ কেজি হারে জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ৫ মাসের মোট ১৫০ কেজি করে চাল বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিলো। ভিডব্লিউবি কার্ডের আওতায় এই বিনামূল্যের চাল বিতরণের সময় ইউপি সদস্যরা সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে মাথাপিছু ৫০০-৬০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। এই অনিয়মের কারণে পরিষদ চত্বরেই ইউপি সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ জনতা।
আটকের সময় তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
বোদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরিয়ার নজির বলেন, বিনামূল্যের সরকারি চাল বিতরণে টাকা নিয়ে তারা ফৌজদারি অপরাধ করেছেন। এ ঘটনার বিচারের মাধ্যমে দেশে একটি অন্যতম নজির স্থাপন করা হবে।
সরকারি চাল বিতরণে এমন দুর্নীতির ঘটনাটি স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
স্বাআলো/এস
