চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের চৌগাছায় বিএনপি কর্মী হত্যা মামলার এজহারভুক্ত আসামিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
নিহত আনিছুর রহমান (৫৬) উপজেলার সিংহঝুলী ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার সিংহঝুলী ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের রবিউলের চায়ের দোকানের পাশে পাকা রাস্তার উপর হামলায় আহত হওয়ার পর বুধবার (৩০ অক্টোবর) যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত আনিছুর রহমান উপজেলার ৩নং সিংহঝুলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এর আগে উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি ২০১৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর গ্রামে কুপিয়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার বিএনপি কর্মী আতিয়ার রহমান হত্যা মামলার এজহারভুক্ত ৩ নম্বর আসামি ছিলেন।
তবে ২০১৫ সালে আতিয়ার হত্যা মামলা, ২০০২ সালে সংঘটিত আনিছুরের বড়ভাই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেন আশা হত্যা মামলা এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক সেক্রেটারি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুচ আলী হত্যা প্রচেষ্টা মামলা নিয়ে এক সমঝোতার অংশ হিসেবে সবগুলো মামলা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
নিহত আনিছুরের রহমানের বড়ভাই চৌগাছার পল্লবী ক্লিনিকের মালিক মিজানুর রহমান জানান, আমার ভাই একজন নিরীহ মানুষ। গ্রাম্য ডাক্তার, পুকুরে মাছের চাষ আছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর বাড়ীর পাশে চা এর দোকানে বসে চা পান করছিলো। দোকানদার আনিছুরকে বসিয়ে রেখে ইশার নামাজ পড়তে যায়। এসময় ৭/৮ জন সন্ত্রাসী তার উপরে হামলা করে এলোপাতাড়ি মারধর করে হাত-পা ভেঙ্গে দেয়। দোকানে বসে থাকা মামাতো ভাই আব্দুস সালাম (৩০) বাধা দিলে তাকেও পিটিয়ে আহত করে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।
পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে চৌগাছা সরকারি হাসপাতালে নিলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক সঞ্চিতা রানী তাদের দুইজনকেই যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩টার দিকে আনিছুরের মৃত্যু হয়। আব্দুস সালাম চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চৌগাছা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মেহেদী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযানে রয়েছে। বিকাল ৫টায় তিনি জানান, ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ গ্রামের পথে রয়েছে। আমরাও সেখানে যাচ্ছি। পরিবার থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দেয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে হত্যা মামলা নেয়া হবে।
স্বাআলো/এস